ধর্ম ডেস্ক
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ পিএম
ইসলামে ব্যভিচার হারাম। ব্যভিচার থেকে বেঁচে থাকা মুমিনের গুণ। মুমিনের যে ৭টি বৈশিষ্ট্য আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের সুরা মুমিনুনে তুলে ধরেছেন তার একটি হলো- লজ্জাস্থানের হেফাজত তথা চারিত্রিক পবিত্রতা।
ইসলাম ব্যভিচারের ধারেকাছে যেতেও নিষেধ করে। আল্লাহ বলেন, ‘এবং ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয়ই তা অশ্লীলতা ও বিপথগামিতা।’ (বনি ইসরাইল: ৩২) এজন্য পর্দার বিধান দেওয়া হয়েছে। এমনকি দৃষ্টি হেফাজত করাও মুমিনদের কর্তব্য। ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিন পুরুষদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। এটাই তাদের জন্য শুদ্ধতর। তারা যা কিছু করে আল্লাহ সে সম্পর্কে পরিপূর্ণ অবগত।’ (সুরা নুর: ৩০)
আরও পড়ুন: ১৪ পাপের শাস্তি দুনিয়ায় দেওয়া হয়
হাদিসে ব্যভিচারের ছয়টি ক্ষতির কথা বর্ণিত হয়েছে, যার তিনটি ইহকালে এবং বাকি তিনটি পরকালে প্রকাশ পাবে। হজরত হুজায়ফাতুন ইয়ামান (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘হে মুসলমানগণ, তোমরা ব্যভিচার থেকে বেঁচে থাকো, নিশ্চয়ই ব্যভিচারের ছয়টি ক্ষতি রয়েছে। তিনটি দুনিয়ায়, আর তিনটি পরকালে প্রকাশ পাবে। দুনিয়ায় যে তিনটি প্রকাশ পাবে, তা হলো ১. চেহারার উজ্জ্বলতা চলে যাবে, ২. রিজিকে সংকীর্ণতা দেখা দেবে এবং ৩. আয়ু কমে যাবে।
পরকালে যে তিনটি প্রকাশ পাবে, তা হলো ১. কেয়ামত দিবসে আল্লাহ তাআলা তার প্রতি ক্রোধান্বিত হবেন, ২. হিসাবে কড়াকড়ি করবেন এবং ৩. দীর্ঘকাল জাহান্নামে থাকতে হবে।’ (কানজুল উম্মাল: ৫/৪৬৪)
ব্যভিচারের শাস্তি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কেয়ামতের দিন তার আজাব বর্ধিত করা হবে এবং সেখানে সে অপমানিত অবস্থায় স্থায়ী হবে।। তবে কেউ তওবা করলে, ঈমান আনলে এবং সৎকর্ম করলে আল্লাহ এমন লোকজনের পাপরাশিকে পুণ্য দিয়ে বদলে দেবেন। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা ফুরকান: ৬৯-৭০)