ধর্ম ডেস্ক
১৯ জুন ২০২৪, ০২:২৮ পিএম
বৃষ্টি মহান আল্লাহর নেয়ামত। বৃষ্টির মাধ্যমে তিনি সৃষ্টিজীবের কল্যাণ ও রিজিকের ব্যবস্থা করেন। বৃষ্টির সময় প্রিয়নবী (স.)-এর বিভিন্ন আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আমল এখানে তুলে ধরা হলো।
বৃষ্টিতে কল্যাণ-অকল্যাণ দুটোরই সম্ভাবনা থাকে। কখনও তা মুসিবতের কারণ হয়, আবার কখনও রহমত হিসেবে আবির্ভূত হয়। নবীজি সবসময় রহমতের বৃষ্টি কামনা করতেন। হাদিসে এসেছে, ‘মেঘাচ্ছন্ন আকাশ এবং প্রচণ্ড বাতাস দেখলে নবীজির (স.) চেহারায় চিন্তার ছাপ ফুটে উঠত। তিনি এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করতেন। অতঃপর ঝরঝরে বৃষ্টি হলে তিনি আনন্দিত হতেন এবং চেহারা থেকে দুশ্চিন্তার ছাপ চলে যেত।’ (মুসলিম: ২৯৪) উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) বলেন, প্রিয়নবী (স.) যখন বৃষ্টি দেখতেন, তখন বলতেন- ‘এ তো আল্লাহর রহমত।’ (সহিহ মুসলিম: ১৯৫৭)
আরও পড়ুন: বৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার যেসব উপকার করেন
বৃষ্টি উপভোগ করা এবং বৃষ্টির পানি গায়ে লাগানো নবীজির (স.) একটি আমল। মাঝেমধ্যে রাসুল (স.) আল্লাহর রহমতের বারিধারায় নিজের শরীর ভিজিয়ে নিতেন। হজরত আনাস (রা.) বলেন, আমরা সঙ্গীরা একবার রাসুল (স.)-এর সঙ্গে ছিলাম, এসময় বৃষ্টি শুরু হলো। তখন রাসুল (স.) তাঁর শরীর থেকে কাপড়ের একাংশ সরিয়ে দিলেন যেন বৃষ্টির পানি গায়ে লাগে। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! এমনটি কেন করলেন? নবীজি (স.) বললেন, কেননা এই বৃষ্টি তার রবের কাছ থেকে মাত্রই এসেছে। (মুসলিম: ২৯৪)
বৃষ্টি শুরু হলে নবীজি (স.) বলতেন- اللَّهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا ‘হে আল্লাহ কল্যাণকর বৃষ্টি দাও।’
অতিবৃষ্টি বা ক্ষতিকর বৃষ্টি হলে এই দোয়া পাঠ করতেন- اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا، وَلاَ عَلَيْنَا ‘হে আল্লাহ আমাদের আশপাশে (জনবসতির বাইরে) বৃষ্টি দাও, আমাদের উপর নয়।’ (বুখারি: ৯৬৬)
আরও পড়ুন: জীবনে তিনটি দোয়া বেশি পড়েছেন নবীজি
বৃষ্টি যেহেতু আল্লাহ তাআলার নেয়ামত ও রহমত, তাই বৃষ্টি থেমে গেলে আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করা উচিত। বৃষ্টি শেষ হয়ে এলে রাসুল (স.) সাহাবায়ে কেরামকে বিশেষ একটি দোয়া পড়ার তাগিদ দিয়েছেন- ‘মুতিরনা বিফাদলিল্লাহি ওয়া রাহমাতিহ’। অর্থ- আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমতে আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে। (সহিহ বুখারি: ১০৩৮)