images

ইসলাম

নারীরা কি স্বামীর টাকায় ফরজ হজ করতে পারবেন?

ধর্ম ডেস্ক

১৫ মে ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম

হজ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুকন। নারী-পুরুষ উভয়ের ওপর হজ ফরজ হয়। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর উদ্দেশে এ গৃহের হজ করা ফরজ। আর কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)

নারীদের ওপর হজ ফরজ হবার শর্ত হলো- হজে যাওয়া আসা এবং সেখানে অবস্থানের খরচসহ মাহরামেরও হজে যাওয়া আসার খরচের মালিক হওয়া। অর্থাৎ নিজের খরচ ও মাহরামের সব খরচ বহন করার সামর্থ্য থাকলেই নারীর ওপর হজ ফরজ হয়। 

তবে, মাহরাম যদি ফরজ হজ করতে যায়, সেক্ষেত্রে তার সঙ্গে গেলে খরচ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। (বাহরুর রায়েক: ২/৩৩৯)

আরও পড়ুন: স্বামীর নিষেধ না মেনে হজে যাওয়া যাবে?

স্বামীর সম্পদ থাকলেই স্ত্রীর ওপর হজ ফরজ হয় না। বরং স্ত্রীর নিজের সম্পদ থাকতে হয়। সেই সম্পদ মোহরানা বাবদ হোক বা যেকোনো হালাল পন্থায় হোক, ওই মহিলার ওপর হজ করা ফরজ।

হজ ফরজ হওয়ার পর নারী নিজ টাকায় হজ করতে পারে। আবার স্বামী যদি স্ত্রীর হজের সকল ব্যয়ভার বহন করে স্ত্রীকে হজ করান, এতেও স্ত্রীর হজের ফরজ আদায় হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার: ৩/৪৫৫, ৩/৪৬৪; গুনিয়াতুন নাসিক: ১৬, ২৭; বাদায়েউস সানায়ে: ২/২৯৯-৩০০; বাদায়েউস সানায়ে: ২/২৯৪)

আরও পড়ুন: হজের সময় পিরিয়ড শুরু হলে করণীয়

ফরজ হজ ত্যাগ করলে ইহুদি-নাসারার মতো মৃত্যু হবে বলে হাদিসে সতর্ক করা হয়েছে। ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ করার সামর্থ্য রাখে, তবুও হজ করে না, সে ইহুদি হয়ে মৃত্যুবরণ করল কি খ্রিস্টান হয়ে, তার কোনো পরোয়া আল্লাহর নেই।’ (ইবনে কাসির: ১/৫৭৮) অন্যদিকে হজের ফজিলত অনেক। একটি হলো নবজাতকের মতো নিষ্পাপ হয়ে যাওয়া। (বুখারি: ১৫২১) আরেকটি ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, ‘মাবরুর হজের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়। (সহিহ বুখারি: ১৭৭৩; সহিহ মুসলিম: ১৩৪৯) 

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সামর্থ্যবানদের হজের গুরুত্ব সম্পর্কে সঠিক উপলব্ধি দান করুন। আর্থিকভাবে দুর্বল মুসলিমদের হজ করার সামর্থ্য দান করুন এবং হজ্জে মাবরুর নসিব করুন। আমিন।