ধর্ম ডেস্ক
০৫ মে ২০২৪, ০১:১১ পিএম
ঈমান আনার পর নামাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আর নামাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হলো সেজদা। প্রতিটি আমলের মতো সেজদাও আদায় করতে হবে সুন্নত তরিকায়। তাহলেই তা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে। সুন্নত তরিকা ছাড়া কোনো ইবাদতই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রশ্ন হলো- পিঠে সমস্যার কারণে বা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কিংবা নানারকম অসুস্থতা বা অক্ষমতায় মাটিতে সেজদা দিতে কষ্টকর হলে উঁচু স্থানে বা সেজদার জায়গায় বালিশ রেখে সেজদা করা জায়েজ কি না?
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, মাটিতে সেজদা করতে না পারলে বিধান হলো- ইশারায় সেজদা করা। আপনিও ইশারায় সেজদা করবেন। ইশারায় সেজদা আদায়ের জন্য রুকুর চেয়ে একটু বেশি ঝুঁকবেন। এ অবস্থায় সেজদার জায়গায় বালিশ বা কিছু রেখে সেজদা দেওয়া অনুত্তম।
আরও পড়ুন: সেজদা থেকে হাতে ভর দিয়ে ওঠাই কি সঠিক?
জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) এক রোগীকে দেখতে গেলেন। তিনি তাকে একটি বালিশের উপর সেজদা করতে দেখলেন। তিনি তা (বালিশ) নিয়ে সরিয়ে রাখলেন। অতঃপর লোকটি একটি কাঠের টুকরা নিল তার উপর সেজদার জন্য। রাসুলুল্লাহ (স.) তা নিয়ে ফেলে দিলেন এবং বললেন, তুমি সক্ষম হলে জমিনের উপর সেজদা করবে অন্যথায় ইশারা করবে। আর তোমার সেজদা রুকু থেকে বেশি ঝুঁকিয়ে করবে। (সুনানে বায়হাকি: ৩৪৮৪)
আরও পড়ুন: ৩ সময় সেজদায় গিয়ে দোয়া করলে কবুল হয়
তবে কেউ অসুস্থতা বা অক্ষমতার কারণে বালিশ বা অন্যকিছুর উপর সেজদা করলে মাসয়ালা হলো- ইশারা তথা মাথা ঝুঁকানো পাওয়া যাওয়ার কারণে সেজদা আদায় হয়ে যাবে এবং নামাজও শুদ্ধ হয়ে যাবে। যদিও তা অনুত্তম।
(মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ২৮৩২; কিতাবুল আছল: ১/১৯০; তাবয়িনুল হাকায়েক: ১/৪৮৯; রদ্দুল মুহতার: ২/৯৮; হালবাতুল মুজাল্লি: ২/২২; বাহরুর রায়েক: ২/১১৩)