ধর্ম ডেস্ক
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
হাতকাটা নরম সুতার আন্ডার শার্টই সাধারণত স্যান্ডো গেঞ্জি হিসেবে পরিচিত। এটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত। গরমকালে শরীরের প্রধান পোশাককে ঘামে ভেজা থেকে রক্ষা করতে এই অন্তর্বাস পরার চল রয়েছে এতদঞ্চলে। শুধুমাত্র এই স্যান্ডো পরেই নামাজ পড়া যাবে কি না জানতে চান অনেকে।
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, সতর ঢাকা অবস্থায় খালি গায়ে বা স্যান্ডো গেঞ্জি গায়ে দিয়ে নামাজ পড়লে নামাজ হয়ে যাবে। কিন্তু নামাজ মাকরুহে তাহরিমি হবে। তাই জামা কাপড় থাকা অবস্থায় এভাবে নামাজ পড়া নিষেধ।
নামাজ মহান ইবাদত। আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎস্বরূপ। এমন ইবাদতের জন্য পোশাক হওয়া চাই যথোপযুক্ত। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন- يَا بَنِي آدَمَ خُذُوا زِينَتَكُمْ عِندَ كُلِّ مَسْجِدٍ ‘হে আদম সন্তান! প্রত্যেক নামাজের সময় সাজসজ্জা (সুন্দর পোশাক-পরিচ্ছদ) গ্রহণ করো।’ (সুরা আরাফ: ৩১)
আরও পড়ুন: নারীদের চুল কতটুকু খোলা থাকলে নামাজ ভেঙে যায়
তাই ভালো পোশাক থাকাবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে শুধুমাত্র স্যান্ডো গেঞ্জি পরে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকবেন। বরং নামাজের সময় যতটা সম্ভব উত্তম জামা পরিধানের চেষ্টা করবেন।
তবে হ্যাঁ, কারো কাছে গেঞ্জি থেকে ভালো কোনো পোশাক না থাকলে তা পরেই নামাজ আদায় করা যাবে, এতে কোনো অসুবিধা নেই। (আদ্দুররুল মুখতার: ১/৬৪০; রদ্দুল মুহতার: ১/৬৪১; ফতোয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত: ৩/৫১৭, ৫১৯)
আরও পড়ুন: অনন্যোপায় হয়ে অপবিত্র কাপড়ে নামাজ পড়া যাবে?
আবার মাকরুহ হবে বলে উক্ত পোশাক পরিধানে অভ্যস্ত ব্যক্তি নামাজই ছেড়ে দেবে—এটাও যেন না হয়। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি:১/১০৬ , কিতাবুল ফতোয়া: ২/২১৭)
উল্লেখ্য, নামাজে পুরুষের নাভির নিচ থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত ঢেকে রাখা ফরজ। নারীদের মুখমণ্ডল, দুই হাত কবজি পর্যন্ত ও টাখনুর নিচে পায়ের পাতা ছাড়া সব অঙ্গ ঢেকে রাখা ফরজ। তবে বিনা ওজরে পুরুষের মাথা, পেট-পিঠ, হাতের কনুই খোলা রেখে নামাজ পড়লে তা আদায় হয়ে গেলেও মাকরুহ হবে। (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/১০৬)