ধর্ম ডেস্ক
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম
দোয়া মুমিনের হাতিয়ার। আল্লাহ তাআলা মুমিনকে দোয়া কবুলের মাধ্যমে গুনাহ মাফ করে দেন। যেকোনো বিপদাপদ থেকে উদ্ধার করেন। রাসুলুল্লাহ (স.) উম্মতকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্ন ভিন্ন দোয়া শিখিয়েছেন। একটি দোয়া সম্পর্কে বলেছেন, ঘুমানোর আগে পড়লে গাছের পাতার সমসংখ্যক গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
দোয়াটি হলো— أَسْتَغْفِرُ اللّهَ َالَّذِيْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الحَيُّ القَيُّومُ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ উচ্চারণ: ‘আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম ওয়াতূবু ইলাইহ।’ অর্থ: ‘আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি আল্লাহর কাছে, যিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, যিনি চিরঞ্জীব ও সবকিছুর ধারক।’
আরও পড়ুন
ইস্তেখারার পর স্বপ্নে কিছু না দেখলে যা করবেন
বান্দার একটি দোয়াও বিফলে যায় না
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) হতে বর্ণিত, আল্লার রাসুল (স.) বলেন, যে শয্যাগ্রহণের সময় তিনবার এ দোয়া পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে তার সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে যদিও তা বৃক্ষের পাতার সমানও হয়। (প্রসিদ্ধ মরুপ্রান্তর) ‘আলেজ’-এর বালুকণার সমানও হয় অথবা দুনিয়ার দিনসমূহের সম-সংখ্যকও হয়।’ (জামে তিরমিজি: ৩৩৯৭)
উল্লেখিত দোয়াটি হলো ইস্তেগফারের দোয়া। অর্থাৎ এ দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কাছে গুনাহ মাফের প্রার্থনা করা হয়। হাদিসে ঘুমের সময় উপরোক্ত দোয়া পড়লে সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়ার সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। কত বড় সৌভাগ্যের কথা হবে, যদি রাসুলুল্লাহ (স.)-এর এ নির্দেশের উপর আমল করার প্রতি যত্নবান হওয়া যায়।
তবে হ্যাঁ, এ তওবা ও ইস্তেগফার খাঁটি অন্তরে হতে হবে। আল্লাহ তাআলা মানুষের অন্তর দেখেন। তাঁকে মুখের কথায় ধোঁকা দেওয়া যায় না। আল্লাহ তাআলা আমাদের খাঁটি অন্তরে শয্যাগ্রহণের সময় উল্লেখিত দোয়াটি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।