images

ইসলাম

৭ম তারাবিতে যা পড়া হবে

ধর্ম ডেস্ক

১৭ মার্চ ২০২৪, ০৭:০১ পিএম

পবিত্র রমজানের ৬ষ্ঠ দিন শেষ হলো আজ। শুরু হবে ৭ম রমজানের তারাবি। রমজান মাসের অন্যতম আমল হলো কোরআনুল কারিম খতমের মাধ্যমে তারাবি নামাজ আদায়। ইসলামি ফাউন্ডেশন নির্ধারিত সপ্তম তারাবিতে দেশের প্রায় সব মসজিদে আজ পড়া হবে সুরা আনফালের ৪১ নম্বর আয়াত থেকে সুরা তাওবার ৯৩ নম্বর আয়াত পর্যন্ত। আজ থেকে ২৭ রমজান পর্যন্ত প্রতিদিন এক পারা করে পড়া হবে। আজ পারা হিসেবে পড়া হবে ১০ম পারা।

চলুন একনজরে দেখে নিই- আজকের খতম তারাবিতে কী পড়া হবে।

সুরা আনফাল, আয়াত ৪১-৭৫
পবিত্র কোরআনের সুরা আনফালের এই অংশে যুদ্ধলব্ধ গনিমতের সম্পদ বণ্টনের নীতি প্রসঙ্গে আলোচিত হয়েছে। তারপর বদরযুদ্ধের ঘটনা ও শিক্ষা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। বদর যুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ঐতিহাসিক এ যুদ্ধে শয়তানের ভূমিকা এবং কাফেরদের ফেরেশতা কর্তৃক প্রহার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে। যুদ্ধের জন্য আত্মিক বল ও রুহানি শক্তি অর্জনের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলার সাহায্য লাভের জন্য যুদ্ধের ময়দানে অটল অবস্থান, বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করা, আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য, মতানৈক্য ও অহংকার পরিহার করা, ধৈর্য ধারণ করা, জাতীয় জীবনে উত্থান-পতনের মূলনীতি, বদরযুদ্ধের বন্দি সমস্যা ও সমাধান, আনসার, মুহাজির এবং মুজাহিদদের পুরস্কার ও মর্যাদা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বদর যুদ্ধে ফেরেশতাদের সাহায্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, আর যদি আপনি দেখতেন, যখন ফেরেশতারা কাফেরদের প্রাণ হরণ করছিল, তাদের চেহারায় ও পশ্চাতে আঘাত করে, আর (বলছিল) ‘তোমরা জ্বলন্ত আগুনের আজাব আস্বাদন কর’। আল্লাহ আরও বলছেন, ‘হে নবী! আপনার জন্য ও আপনার অনুসারীদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।’

আরও পড়ুন: খতম তারাবিতে যেদিন যা তেলাওয়াত করা হবে

সুরা তাওবা, আয়াত ১-১৬
সুরা তওবায় মৌলিকভাবে দু’টি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে ১. মুশরিক ও আহলে কিতাবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের বর্ণনা এবং ২. গাজওয়ায়ে তাবুকের প্রেক্ষাপটে মুনাফিকদের আসল পরিচয় প্রকাশ। এক থেকে ছয় নম্বর আয়াতে জমিনে বিচরণ করা, হজের সময়ে আল্লাহর কৃত ঘোষণা, মুশরিকরা যদি মুসলমানদের কাছে আশ্রয় নেয় তাহলে কী করবে এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এরপর ইহুদি ও মুশরিকদের ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। তারা চুক্তি ভঙ্গ করে ও বিশ্বাসঘাতকতা করে। এর পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।

সুরা তাওবা, আয়াত ১৭-২৯
মুশরিকদের অপরাধ স্বীকার করা, আল্লাহর জন্য হিজরত করা, হাজিদের জন্য পানি সরবরাহ করা ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এছাড়াও হুনাইনের যুদ্ধ ও মুসলিমদের আত্মবিশ্বাস রাখা প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

আরও পড়ুন
৫ম তারাবিতে যা পড়া হবে
৪র্থ তারাবিতে যা পড়া হবে

সুরা তাওবা, আয়াত ৩০-৫৯
বলা হয়েছে উজায়েরকে (আ.) ইহুদিরা আল্লাহর পুত্র মনে করত। মরিয়ম (আ.) ও ঈসা (আ.) সম্পর্কেও এখানে আলোচনা করা হয়েছে। আরো বলা হয়েছে যে, যারা সম্পদ জমা করবে তাদের পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ হবে। তাবুক যুদ্ধ সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। ইতিহাসে যা গাজওয়ায়ে তাবুক নামে প্রসিদ্ধ। গাজওয়ায়ে তাবুক ছিলো ঈমানের কঠিন এক পরীক্ষা। একদিকে তীব্র গরম, অপরদিকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য। মুনাফিকদের দুর্বলতা ও গোপন দোষগুলো তাবুক যুদ্ধে উন্মোচিত হয়ে পড়ে।

সুরা তাওবা, আয়াত ৬০-৮০
তাবুকের যুদ্ধে মুনাফিকদের যেসব দোষ প্রকাশ পেয়েছিল মিথ্যা অজুহাত পেশ করা, হিলা-বাহনা পেশ করা, হাস্যকর আপত্তির কথা বলে নিজেদের জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করার বাহানা, মুসলমানদের মাঝে অনিষ্ট ছড়ানো, মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিংসা ও বিদ্বেষ পোষণ করা ও বিপদে আনন্দ প্রকাশ করা ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।

সুরা তাওবা, আয়াত ৮১-৯৩
বলা হয়েছে কাফেরদের সঙ্গে মোনাফেকদের সাদৃশ্যের কথা, কওমে নুহ, আদ, সামুদ, কওমে ইব্রাহিম, আসহাবে মাদয়ান ও কওমে লুতের কথা বলা। তাদের অত্যন্ত ভয়াবহ পরিণাম হয়েছিল। এ থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।