images

ইসলাম

খতম তারাবিতে যেদিন যা তেলাওয়াত করা হবে

ধর্ম ডেস্ক

০৭ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫৯ পিএম

তারাবি (বিরতিপূর্ণ নামাজ) রমজানের বিশেষ ইবাদত। পুরুষদের জন্য তারাবির নামাজ মসজিদে জামাতের সঙ্গে আদায় করা সুন্নত। তারাবি হলো কিয়ামুল্লাইলের অন্তর্ভুক্ত। তারাবি (আরবি উচ্চারণে তারাবীহ) শব্দের অর্থ বিশ্রাম করা। বিরতি নিয়ে এই নামাজ পড়া হয় বিধায় একে তারাবি বলা হয়। 

কোরআন নাজিলের মাসে কোরআন খতমের জন্যই মূলত খতম তারাবির প্রচলন শুরু হয়। চার মাজহাবের সকল ইমামই তারাবিতে কোরআন খতমের প্রবক্তা ছিলেন। হজরত ওমর (রা.) থেকে তিনবার খতমের বর্ণনা পাওয়া যায়। রাসুলুল্লাহ (স.) থেকেও রমজান মাসে খতমে কোরআনের বর্ণনা সহিহ সূত্রে প্রমাণিত। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (স.)-এর কাছে প্রতি রমজানে একবার কোরআন পেশ বা তেলাওয়াত করা হত, তবে তার ইন্তেকালের বছর তার কাছে তা দু’বার পেশ বা তেলাওয়াত করা হয়।’ (সুনানে নাসায়ি: ৭৯৩৮, ইবনে মাজাহ: ১৭৬৯) হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জিব্রাইল (আ.) রমজান শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রতিরাতে নবীজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন; তাঁর কাছে কোরআন পেশ করেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৩৪৪০)

আরও পড়ুন: সেহেরির সময় মাইকে ডাকাডাকি, আলেমদের বক্তব্য

আমাদের দেশের বেশির ভাগ মসজিদে খতম তারাবির ব্যবস্থা করা হয়। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকেও এই নিয়ম বলে দেওয়া হয় প্রতি রমজানের আগে। তারাবিতে সাধারণত প্রথম ছয়দিন দেড় পারা করে কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। সেই হিসেবে ছয়দিনে পড়া হবে ৯ পারা। বাকি ২১ দিনে এক পারা করে তেলাওয়াত করা হয়। নিচে তারাবির নামাজে কোনদিন কতটুকু তেলাওয়াত করা হবে তা উল্লেখ করা হলো।

প্রথম তারাবি: সুরা ফাতিহা প্রথম আয়াত থেকে সুরা বাকারা ২০৩ আয়াত।

দ্বিতীয় তারাবি: সুরা বাকারা ২০৩ আয়াত থেকে আলে ইমরান ৯১ নম্বর আয়াত।

তৃতীয় তারাবি: সুরা আলে ইমরান ৯২ থেকে সুরা নিসা ৮৭ আয়াত।

চতুর্থ তারাবি: সুরা নিসা ৮৮ থেকে সুরা মায়িদাহ ৮২ আয়াত।

পঞ্চম তারাবি: সুরা মায়েদা ৮৮ থেকে সুরা আরাফ ১১ আয়াত।

ষষ্ঠ তারাবি: সুরা আরাফ ১২ থেকে সুরা আনফাল ৪০ আয়াত।

সপ্তম তারাবি: সুরা আনফাল ৪১ আয়াত থেকে সুরা তওবা ৯৩ আয়াত।

আরও পড়ুন: তারাবি নামাজ কত রাকাত?

অষ্টম তারাবি: সুরা তওবা ৯৪ আয়াত থেকে সুরা হুদ ৫ আয়াত। 

নবম তারাবি: সুরা হুদ ৬ আয়াত থেকে সুরা ইউসুফ ৫২ আয়াত। 

দশম তারাবি: সুরা ইউসুফ ৫৩ আয়াত থেকে সুরা হিজর ১ আয়াত

১১তম তারাবি: সুরা হিজর ২ আয়াত থেকে সুরা নহল ১২৮ আয়াত।

১২তম তারাবি: সুরা বনি ইসরাইল ১ আয়াত থেকে সুরা কাহাফ ৭৪ আয়াত।

১৩তম তারাবি: সুরা কাহাফ ৭৫ আয়াত থেকে সুরা তোহা ১৩৫ আয়াত।

আরও পড়ুন: দ্রুত তারাবি পড়লে যে ক্ষতি

১৪তম তারাবি: সুরা আম্বিয়া ১ আয়াত থেকে সুরা হজ ৭৮ আয়াত।

১৫তম তারাবি: সুরা মুমিন ১ আয়াত থেকে সুরা ফোরকান ২০ আয়াত।

১৬তম তারাবি: সুরা ফোরকান ২১ আয়াত থেকে সুরা নমল ৫৯ আয়াত।

১৭তম তারাবি: সুরা নমল ৬০ আয়াত থেকে সুরা আনকাবুত ৪৪ আয়াত।

১৮তম তারাবি: সুরা আনকাবুত ৪৫ আয়াত থেকে সুরা আহজাব ৩০ আয়াত।

১৯তম তারাবি: সুরা আহজাব ৩১ আয়াত থেকে সুরা ইয়াসিন ২১ আয়াত।

২০তম তারাবি: সুরা ইয়াসিন ২২ আয়াত থেকে সুরা জুমা ৩১ আয়াত।

২১তম তারাবি: সুরা জুমা ৩২ আয়াত থেকে সুরা হা–মিম সিজদা ৪৬ আয়াত।

২২তম তারাবি: সুরা হামিম সিজদা ৪৭ আয়াত থেকে সুরা জাসিয়া ৩৭ আয়াত।

২৩তম তারাবি: সুরা কাফ ১ আয়াত থেকে সুরা জারিয়াত ৩০ আয়াত।

২৪তম তারাবি: সুরা জারিয়াত ৩১ আয়াত থেকে সুরা হাদিদ ২৯ আয়াত। 

২৫তম তারাবি: সুরা মুজাদালা ১ আয়াত থেকে সুরা তাহরিম ১২ আয়াত। 

২৬তম তারাবি: সুরা মুলক ১ আয়াত থেকে সুরা মুরসালাত ৫০ আয়াত। 

২৭তম তারাবি: সুরা নাবা ১ আয়াত থেকে সুরা নাস ৬ আয়াত।