images

ইসলাম

ফিলিস্তিনিদের অসহায়ত্ব নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহর আবেগঘন স্ট্যাটাস

ধর্ম ডেস্ক

২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪৫ পিএম

এই অত্যাধুনিক সময়ে এসেও যখন শুনি, একটি ভূখণ্ডের লক্ষ লক্ষ মানুষ বেঁচে থাকার জন্য ঘাস, লতাপাতা খেয়ে জীবনধারণ করছে, অসহায়ত্বের বেদনায় দম বন্ধ হয়ে আসে। ক্রোধে বুক ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয়।

প্রতিদিনই পবিত্র ভূমির নতুন নতুন বিপর্যয়ের খবর কানে আসছে। জাতিসংঘ বলছে, সেখানকার অন্তত ৬ লক্ষ মানুষ দুর্ভিক্ষ থেকে একধাপ দূরে অবস্থান করছে।

না, এই দুর্ভিক্ষের কারণ খাদ্যের সংকট না, বরং হায়েনারা ত্রাণ পৌঁছনোর পথ রুদ্ধ করে দিচ্ছে বলেই এই সংকট। শুধু তাই নয়, সেখানকার উত্তরাঞ্চলে খাদ্যের জন্য জড়ো হওয়া অসহায় মানুষগুলোর ওপর গুলি বর্ষণ করেছে হায়েনার দল।

আরও পড়ুন: প্রত্যেকেই মৌলবাদী, দোষ শুধু ইসলামপন্থীদের: শায়খ আহমাদুল্লাহ

আমাদেরই চোখের সামনে একটি মুসলিম জনপদকে তিলে তিলে গোরস্থান বানানো হচ্ছে, অথচ তার কোনো প্রভাব আমাদের জীবনের ওপর পড়ছে না। আমরা এমন কেউ কি আছি, ক্ষুধার্ত শিশুগুলোর প্রতি সহমর্মিতা দেখাতে একবেলা না খেয়ে থেকেছি! 

একটা জনগোষ্ঠীর ওপর কতটা জুলুম হলে শত্রুপক্ষের কোনো সৈন্য গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে! এই একটি ঘটনাই বুঝিয়ে দেয়, তাদের ওপর নেমে আসা বিপর্যয়ের মাত্রা কতটা ভয়ংকর! কতটা অপরাধবোধে ভুগলে মানুষ গায়ে আগুন লাগাতে পারে!

আরও পড়ুন: রাতে মাহফিলে মাইকের ব্যবহার নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

রাষ্ট্রদূত হত্যার প্রতিবাদে যে নবী এক অসম যুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন, এতকিছুর পরও সেই নবীর দেড়শ কোটি উম্মত আজ ঘুমে বেহুশ। অসংখ্য রক্তাক্ত শিশুর বুকফাটা চিৎকারও আমাদের ঘুম ভাঙাতে ব্যর্থ হচ্ছে। আমরা তবে কবে জাগব!

নিপীড়িত এই জনগোষ্ঠীর জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম দেশ হিসেবে কি আমরা কিছুই করতে পারি না! সামরিক সহায়তা না হোক, মানবিক সাহায্যও কি আমরা পাঠাতে পারি না! সারা বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর কি কিছুই করণীয় নেই!

মুসলিম জাতির এই ক্রান্তিকালে আজ খুব বেশি মনে পড়ছে ওমর রা. খালিদ রা. সালাদীনের কথা। আজ এই দুর্দিনে তাদের মতো সাহসী রাষ্ট্রনায়কের বড় প্রয়োজন।

শায়খ আহমাদুল্লাহর ফেসবুক পেজ থেকে