কাজী নজরুল ইসলামের একটি বিপ্লবী সংগীতের সুর বিকৃত করায় নজরুলপ্রেমীদের প্রতিবাদে ফেটে পড়তে দেখা যাচ্ছে। তাদের একই কথা—নজরুলগীতির সুর বিকৃত করে নজরুলের মৌলিকত্বকে নষ্ট করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে।
নজরুলপ্রেমীদের কষ্টের জায়গাটা আমরা বুঝতে পারছি। যিনি যা ভালোবাসেন, যে আদর্শ অনুসরণ করেন, তিনি সব সময়ই চান, সেই অনুসরণীয় বিষয়ের মৌলিকত্ব যেন অটুট থাকে। এটাই প্রকৃতির দাবি।
বিজ্ঞাপন
একই নিয়ম ইসলামের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ইসলামকে যারা ভালোবাসেন, তারাও চান, তাদের অনুসরণীয় ইসলাম যেন ইসলামবিদ্বেষী কিংবা ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ ব্যক্তিদের হাতে পড়ে বিকৃত না হয়। কেউ যদি বিকৃত করার চেষ্টা করে, তবে ইসলামপ্রেমীরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন, যেভাবে ফেটে পড়েছেন নজরুলপ্রেমীরা।
আরও পড়ুন: হারাম রিলেশনকে ‘না’ বলুন: শায়খ আহমাদুল্লাহ
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো নজরুলপ্রেমীদের প্রতিবাদকে মৌলবাদিতা বলা না হলেও ইসলামপ্রেমীদের প্রতিবাদকে খুব সহজেই মৌলবাদিতা বলে দেয়া হয়। এটা এক শ্রেণির মানুষের পরিকল্পিত দ্বিচারিতা।
মূলত আপন আপন আদর্শে আমরা প্রত্যেকেই মৌলবাদী। দোষ হয় শুধু ইসলামপন্থীদের।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: পুরুষের মতো হতে চাওয়া নারীত্বের অপমান: শায়খ আহমাদুল্লাহ
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি হিন্দি সিনেমায় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা গান ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ রিমেক করে সমালোচনার মুখে পড়েন ভারতীয় সুরকার ও সংগীত পরিচালক এ আর রহমান। দুই বাংলার সংগীত বোদ্ধা থেকে সাধারণ শ্রোতাদর্শকও গানটি নিয়ে রহমানকে তুলোধুনো করে যাচ্ছেন এখনও। সুরে পরিবর্তন আনায় নজরুল অনুরাগীরা কোনোভাবেই ছাড় দেননি এবং ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। তোপের মুখে শেষমেষ প্রযোজকদের তরফে একটি বিবৃতিতে অনিচ্ছাকৃত কষ্ট দেওয়ার জন্য ক্ষমা চাওয়ার কথাও প্রচারিত হয় সংবাদমাধ্যমে।