ধর্ম ডেস্ক
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৫ পিএম
ইসলামে নফল নামাজ এমন নামাজকে বলা হয় যা আদায় করলে সওয়াব আছে কিন্তু আদায় না করলে কোনো গুনাহ নেই। পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত নামাজের বাইরেও কিছু নফল নামাজ রয়েছে। যেমন তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত (দুহা), আওয়াবিন, তাহিয়্যাতুল অজু, তাহিয়্যাতুল মসজিদ, তাওবার নামাজ ইত্যাদি।
এসব নামাজ ছাড়াও হারাম ওয়াক্ত ছাড়া যেকোনো সময় দু’রাকাত বা চার রাকাত করে নফল নামাজ পড়া যায়। নফল নামাজ আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম। তাছাড়া কেয়ামতের দিন নফল নামাজ সহায়ক হবে। সেদিন ফরজের ত্রুটি পূরণ করা হবে নফলের মাধ্যমে (তিরমিজি: ৪১৩)। নফল নামাজে প্রতি রাকাতেই সুরা ফাতেহার সঙ্গে সুরা মেলানো নিয়ম।
আরও পড়ুন: আল্লাহর ভালোবাসা পেতে নফল ইবাদতের গুরুত্ব
সুস্থ ও শক্তি-সামর্থ্য থাকলে নফল নামাজ দাঁড়িয়ে আদায় করাই উত্তম। অবশ্য কোনো ওজর না থাকলেও নফল নামাজ বসে পড়াও জায়েজ আছে। তবে দাঁড়িয়ে আদায় করলে যে সওয়াব হবে ওজর ছাড়া বসে আদায় করলে তার অর্ধেক সওয়াব হবে।
আরও পড়ুন: ফরজ বাধ্যতামূলক, নফলে আল্লাহর নৈকট্য
হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বসে নামাজ আদায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘যদি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে তবে তাই উত্তম। আর যদি বসে নামাজ আদায় করে তবে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়কারীর অর্ধেক সওয়াব পাবে।’ (বুখারি: ১১১৫)
আরও পড়ুন: ইশরাক ও চাশতের নামাজ কখন পড়তে হয়, ফজিলত কী?
উল্লেখ্য, ফরজ-ওয়াজিব নামাজ ওজর ছাড়া বসে আদায় করা জায়েজ নেই। (আলবাহরুর রায়েক: ২/৬২; আলমুহিতুল বুরহানি: ২/২২১; হালবাতুল মুজাল্লি: ২/৩৬৮; আদ্দুররুল মুখতার: ২/৩৬)