ধর্ম ডেস্ক
২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫৬ পিএম
জানাজা, দাফন-কাফন-শেষে কবর জেয়ারত, দোয়া, দান-সদকা, কোরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি উপায়ে মৃতব্যক্তির জন্য সওয়াব পৌঁছানো যায়। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যখন মানুষ মারা যায়, তখন তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তিনটি আমলের উপকার সে ভোগ করতে পারে— ১. সদকায়ে জারিয়া। ২. এমন জ্ঞান, যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়। ৩. ওই সুসন্তান, যে তার জন্য দোয়া করে।’ (সহিহ মুসলিম: ১৬৩১)
মৃতব্যক্তির পক্ষ থেকে সদকা করলে তা তার গুনাহের কাফফারা হয়। (মুসলিম: ১৬৩০) একইভাবে, মৃতব্যক্তির পক্ষ থেকে হজ, ওমরা, কোরবানি করেও সওয়াব উৎসর্গ করা যায়। (বুখারি: ১৮৫২; মুসলিম: ৫২০৩)
আরও পড়ুন: মৃতদের জন্য সওয়াব পৌঁছানোর পদ্ধতি
অতএব, কবরবাসীর জন্য দোয়া, তেলাওয়াত সবই করা যাবে। কবরের পাশে দাঁড়িয়ে বা বসে, মুখস্থ বা দেখে বিভিন্ন অবস্থায় কোরআন তেলাওয়াত করা নাজায়েজ নয়। যদিও দেখে তেলাওয়াত করা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। কেননা সাহাবা-তাবেয়িন থেকে এমন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
তদ্রূপ কবরস্থানে কবরের দিকে না ফিরে অন্যদিকে ফিরে মোনাজাত করাও জায়েজ। (হিন্দিয়া: ১/১৬৬, রদ্দুল মুহতার: ২/২৪৩, ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া: ২/২৪৩; ফতোয়ায়ে উসমানি: ১/১৩৬; আহসানুল ফতোয়া: ৮/২০)
আরও পড়ুন: যে ৭ দোয়া জীবন বদলে দেবে
প্রসঙ্গত, কবরের পাশে কান্না করা, হা-হুতাশ করা ইসলামে নিন্দনীয়। এই আশঙ্কা থেকেই নারীদের কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করা হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুল (স.) মহিলা কবর জিয়ারতকারী, তার ওপর মসজিদ নির্মাণকারী ও তাতে বাতি প্রজ্বালনকারীদের অভিশাপ দিয়েছেন। (আবু দাউদ: ৩২৩৬)