ধর্ম ডেস্ক
২৫ জুন ২০২৩, ০৬:২৮ পিএম
কোরবানি হলো ইসলামের একটি শিয়ার বা মহান নিদর্শন। কোরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা কোরবানির নির্দেশ দিয়ে বলেন- ‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন’ (সুরা কাউসার: ২)।
কোরবানির গোশত নিজে খাওয়া, হাদিয়া দেওয়া এবং সদকা করা যায়। আল্লাহর বাণী ‘অতঃপর তোমরা তা থেকে খাও এবং দুঃস্থ অভাবীকে আহার করাও।’ (সুরা হজ: ২৮)
কোরবানির গোশত বিতরণের উত্তম পদ্ধতি হলো—এক-তৃতীয়াংশ গরিব-মিসকিনকে এবং এক-তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া। অবশ্য পুরো মাংস যদি কেউ নিজে রেখে দেয়, তাতেও কোনও অসুবিধা নেই। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২২৪; আলমগিরি: ৫/৩০০)
আরও পড়ুন: কোরবানির গোশত তিনদিনের বেশি জমিয়ে রাখা যাবে?
অর্থাৎ কোরবানির গোশত এক তৃতীয়াংশ গরিব-মিসকিনকে, আরেক তৃতীয়াংশ আত্মীয় স্বজনকে দেওয়া—এটি জরুরি বা বাধ্যতামূলক নয়; বরং তা মোস্তাহাব। (রদ্দুল মুহতার: ০৯/৪৭৪; আল-ফতোয়া আস-সিরাজিয়্যাহ: ৩৮৯)
আরও পড়ুন: কোরবানির গোশত পুরোটাই সদকা করা জরুরি হয়ে পড়ে যখন
মনে রাখতে হবে, কোরবানি শুধু পশু জবেহ করার নাম নয়, কোরবানির শিক্ষা অনেক ব্যাপক। কোরবানিতে নিজের পশুত্বকে শেষ করার শিক্ষা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে ত্যাগের অনুপম শিক্ষা। কোরবানির গোশত পেয়ে গরিব-দুঃখী খুশি হয়। সাম্য, ঐক্য, সম্প্রীতি ও সহানুভূতির মনোভাব নিয়ে দরিদ্র ও আত্মীয়দের গোশত দেওয়া অনেক বড় পূণ্যের কাজ।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (স.) বলেছেন, ‘যতক্ষণ একজন মানুষ অন্য মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থাকবে, আল্লাহ তাআলাও তার কল্যাণে রত থাকবেন।’ (সহিহ মুসলিম: ৬৭৪৬) অন্য হাদিসে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি ব্যয় করো, আমিও তোমার প্রতি ব্যয় করব।’ (বুখারি: ৫৩৫২)
আল্লাহ তাআলা আমাদের কোরবানি কবুল করুন। সবাইকে কোরবানি করার, সহযোগী ও সহমর্মী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।