জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৩:২৬ পিএম
আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৭ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে হঠাৎ এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় গোটা নয়াপল্টন। সংঘর্ষ এখনও থেমে থেমে চলছে।
আরও পড়ুন: সমাবেশের আগে বিএনপির অবস্থানের আশায় গুড়েবালি!
বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, হঠাৎ করে পুলিশের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিতে ফাঁকা গুলি চালানো হয়েছে।
এর আগে দুপুর ১২টার নয়াপল্টন এলাকায় একাধিক সাজোয়া যান, প্রিজন ভ্যান এবং অতিরিক্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করে পুলিশ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া সরাসরি সম্প্রচারে দেখা গেছে, সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। নেতাকর্মীরা ছুঁড়ে মারা ইট তুলে উল্টো নিক্ষেপ করতেও দেখা যায় পুলিশকে।
আরও পড়ুন: গাড়ি ভরে পানি আসছে পল্টন কার্যালয়ে, নিচতলায় রান্নার আয়োজন
এক পর্যায়ে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আশপাশের গলিতে অবস্থান নেয়। সেখান থেকেও ফাঁকে ফাঁকে তারা পুলিশের দিকে হাতের কাছে যা পাচ্ছে তা ছুড়ে মারে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর শনিবার নয়াপল্টনে বিভাগীয় সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দলটিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও বিএনপি সেখানে সমাবেশ করবে না বলে জানিয়েছে। তৃতীয় কোনো ভেন্যুর বিষয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পুরান ঢাকার ধূপখোলা মাঠের কথা আলোচনা হচ্ছে। এর মধ্যেই নয়াপল্টনে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। সেখানে বাধা দিতে গেলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার থেকেই বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। এছাড়া সমাবেশ সফল করতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরাও ইতোমধ্যে নয়াপল্টনে এসে জড়ো হয়েছেন। তারা তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাসায় রাত যাপন করলেও সকাল সকাল দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে উপস্থিত হন।
বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকা বিভাগের সমাবেশ সফল করতে আগে থেকে রাজধানীতে চলে এসেছেন এমন কয়েকজনের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা জানান, ধর্মঘটসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কথা মাথায় রেখে সমাবেশের কয়েক দিন আগেই ঢাকায় চলে এসেছেন। তারা তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাসায় রাত যাপন করেন। সমাবেশের ২-১ দিন আগে থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রাত যাপন করবেন বলে জানান তারা।
বিইউ/জেবি