নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:১৯ পিএম
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ। কর্মসূচির মাত্র চার দিন বাকি। কিন্তু এখনো চূড়ান্ত হয়নি সমাবেশস্থল। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে দলটির নেতাদের। সর্বশেষ বিএনপির পক্ষ থেকে সমাবেশের জন্য আরামবাগ এলাকার (মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুলের সামনের সড়ক) প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও যে কোনো মুহূর্তে, এমনকি আজও ঘোষণা আসতে পারে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
এখনও সমাবেশের স্থান নির্ধারিত না হওয়ায় দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে গণসমাবেশের জন্য প্রস্তুতিমূলক সব ধরনের কাজেও বাধার মুখোমুখি হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
যদিও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও নয়াপল্টনের বিকল্প নির্ধারণের জন্য পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন বিএনপি নেতারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী ঢাকা মেইলকে বলেন, তারা দুই-একটি জায়গায় সমাবেশ করার কথা বলেছে, যেগুলো উন্মুক্ত স্থান। আমরা বলেছি রাজধানীর মধ্যে হতে হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান তো উন্মুক্ত মাঠ নয়, এটি পার্ক। আর সেখানে সমাবেশ করার কোনো পরিবেশ নেই। ঢাকার শহরে উন্মুক্ত মাঠ নেই। তাই আমরা বলেছি শহরের মধ্যেই আমরা সমাবেশ করতে চাই। আমরা আরামবাগের কথা বলেছি।
এর আগে এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের স্থান হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে বিকল্প প্রস্তাব এলে সেটা বিবেচনায় নেওয়া হবে। বিকল্প স্থান যদি আমাদের কাছে সন্তোষজনক মনে হয়, যদি নিরাপদ মনে হয় সেক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে।
>> আরও পড়ুন: সব বাধা উপেক্ষা করে কর্মসূচি সফল করতে চায় বিএনপি
তিনি বলেন, হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের মাধ্যমে যতই ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করুক না কেন, তাতে আমাদের নেতাকর্মীরা ভীত নয়। যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবিলা করেই বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবে। তিনি আরও বলেন, সারাদেশে আমরা বিভাগীয় সমাবেশ করেছি শান্তিপূর্ণভাবে। ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশও শান্তিপূর্ণভাবে করব।
এদিকে নেতাকর্মীদের গ্রেফতারসহ সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি অবহিত করতে আজ মঙ্গলবার কূটনীতিকদের সঙ্গে বসছে বিএনপি। বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ভায়োলেন্স অ্যান্ড পলিটিক্স অব ব্লেমিং’ শীর্ষক এক সেমিনারে ঢাকাস্থ বিদেশি সব দূতাবাসসহ জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এমই/জেএম/আইএইচ