নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:০১ পিএম
ভোট চোরদের বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেয় না বলে বিএনপিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি ভোট চুরির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল বলে তারা বেশি দিন ক্ষমতায় টিকতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিসেম্বরের ১০ তারিখ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ছক এঁকেছিল, এজন্য দিনটি বিএনপির প্রিয় বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ৩৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমি বিএনপিকে বলে দিতে চাই, ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জনগণের ভোট চুরি করে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছিল। এ কারণেই বাংলাদেশের মানুষ তাকে মেনে নেয়নি। সারাদেশ ফুঁসে উঠেছিল। খালেদা বাধ্য হয়েছিল পদত্যাগ করতে। দেড় মাসেরও কম সময়ে তারা পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের ভোট কেউ চুরি করলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না। ওরা ভোটে যেতে চায় না। কারণ জিয়াউর রহমান জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় এসেছিল। গণতান্ত্রিক ধারা তাদের পছন্দ না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের উন্নতি হয়। বাংলাদেশ আজ উন্নতি হচ্ছে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকার কারণে।’
জিয়াউর রহমান একটি ভাঙা সুটকেস আর ছেঁড়া গেঞ্জি রেখে গিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে হাওয়া ভবন খুলে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ‘ব্যাংকে টাকা নেই’ এটা গুজব, কেউ কান দেবেন না: প্রধানমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া আজ জেলে কেন। এতিমের নামে টাকা এনে নিজে আত্মসাৎ করেছে। জিয়া ট্রাস্টের টাকা চুরি করেছে বলেই সাাজাপ্রাপ্ত আসামি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদার ছেলে একটা টাকা চুরি করেছিল, সিঙ্গাপুরে মারা গেছে। টাকা পাচার করেছিল, আমরা সেই টাকার কিছু ফিরিয়ে এনেছি। আরেকজন কুলাঙ্গার বানিয়ে রেখে গেছে জিয়াউর রহমান। লন্ডনে বসে আছে। সে লন্ডনে কেন আছে। ২০০৭ সালে মুচলেকা দিয়ে পালিয়েছিল। সেখানে রাজার হালে থাকে আর দেশে যত নাশকতার কাজ করে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: আধুনিক ও সময়োপযোগী যুদ্ধাস্ত্র সংগ্রহ করছে সরকার
চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠ থেকে ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ছাড়াও আরও ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এসব প্রকল্প চট্টগ্রামবাসীর জন্য উপহার বলে মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।
জেবি