images

রাজনীতি

ভিনদেশের হস্তক্ষেপ চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতা: গণঅধিকার পরিষদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ আগস্ট ২০২২, ১১:৩২ পিএম

অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে ভিনদেশের হস্তক্ষেপ চাওয়া স্পষ্টতই রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুলহক নুর।

শুক্রবার (১৯ আগস্টা) রাতে সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানি স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এই মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে গণঅধিকার পরিষদ নেতারা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জেএমসেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন 'শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সেটি করতে ভারতবর্ষের সরকারকে করতে অনুরোধ করেছি' বলে যে মন্তব্য করছেন তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকতে এভাবে ভিনদেশের হস্তক্ষেপ কামনা রাষ্ট্রের জন্য বড় ধরনের হুমকি।’

আরও পড়ুন: ভারত প্রসঙ্গে মোমেনের বক্তব্য নাকচ কাদেরের

নেতারা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ক্ষমতার মালিক দেশের জনগণ। কিন্ত এই সরকার জনমত উপেক্ষা করে রাষ্ট্রযন্ত্রের দলীয়করণ ও ভিন্ন দেশের তোষামোদি করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। এভাবে জোরজবরদস্তি করে বিদেশিদের তোষামোদি করে ক্ষমতায় থাকতে চাওয়া দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি স্পষ্টতই হুমকি। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, শুধু অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সহায়তা চাওয়া নয়, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভারতের সরাসরি হস্তক্ষেপ; এমনকি ১/১১-এর সেনাসমর্থিত সরকারের 'সেইফ এক্সিট' নিয়ে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির 'দ্যা কোয়ালিশন ইয়ারস' বইয়ে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে তা বর্তমান সরকারের দেশদ্রোহী চরিত্রের মুখোশ উন্মোচন করেছে।’

আরও পড়ুন: ভারতকে বলেছি শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতান্ত্রিকব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বর্তমান ‘গণবিরোধী ও দেশদ্রোহী’ সরকারকে রুখে দিতে রাজপথে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানায় গণঅধিকার পরিষদ।

টিএই/জেবি