নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সংসদ নির্বাচনের তারিখ অপরিবর্তিত রাখার আহ্বান জানিয়ে তফসিলে কিছু ক্ষেত্রে নমনীয়তা রাখার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্বাচন পেছানোর যেকোনো উদ্যোগকে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করে দলটি বলেছে, নির্ধারিত তারিখেই ভোট আয়োজন করতে নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে এমন কথা জানান দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, কালকে একটি (বিএনপির) সমাবেশ হতে চলছে। ৩ জানুয়ারি আরেকটি কর্মসূচি (জামায়াতের) রয়েছে। হাদির হত্যার বিচার দাবিতে কর্মসূচি চলছে। ভোট যেন ১২ ফেব্রুয়ারি হয় সে কথা বলেছি। ভারত রিএস্টাবলিস্ট করে ভোট পেছাতে চাচ্ছে। সেটা যেন না হয়। প্রবাসীরা যাতে আরও বেশি করে নিবন্ধন করতে পারে সে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
তিনি বলেন, জনগণ গণভোট নিয়ে ইসির প্রচার দেখেনি বলে জানিয়েছে। বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিতে যারা চেষ্টা করছে তারা যেন সুযোগ না পায় সে কথা আমরা বলেছি। একটি দল না প্রচার করছে। কোন দল করছে সেটা খোঁজ নিন। আমরা নাম বলতে চাচ্ছি না।
এক প্রশ্নের জবাবে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ভোট নিয়ে উদ্বেগ আছে। একজন প্রার্থী ইতোমধ্যে হত্যা হয়েছে। সকল দলের প্রার্থী যেন নিরাপত্তা পায় সেটা বলেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে নিরাপত্তা চাদর আরও বাড়াবেন। তারা নিরাপত্তা দেবেন যাতে হাদির মতো কেউ হত্যার শিকার না হয়।
পাটওয়ারী বলেন, হাদি হত্যায় আওয়ামী লীগের অনেকের সংশ্লিষ্টতার নাম আছে। তারা রিএস্টাবলিশমেন্টের চেষ্টা চলছে। তাই আমরা চাচ্ছি ভোটটা যেন না পেছায়। আমরা অন্য কেনো প্রতীকে ভোট করবো না। ইলেকটোরাল এলায়েন্স করছি। তবে আমরা শাপলা কলি প্রতীকে নির্বাচন করবো। অন্য দলের প্রতি আহ্বান করবো নিজস্ব স্বকীয়তা বিকিয়ে দেবেন না। আজকে হয়তো সুযোগ নেই, ভবিষ্যতে সুযোগ আসবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইসিতে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে। এজন্য তারা তিন বাহিনীর প্রধানকে ডেকেছে। ইসির সক্ষমতাও বাড়াতে হবে। তারা বলছে তারা সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। প্রথমবারের মতো তিন বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
১২ ফেব্রুয়ারি ভোট নিয়ে আশঙ্কা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আশঙ্কা তো বাংলাদেশে রয়েছে। কিন্তু সেই আশঙ্কাটা মানিয়ে আমরা বারংবার জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে ইলেকশন কমিশনের কাছে বলেছি যাতে ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে ইলেকশনটা করতে সক্ষম হয়। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন কোনো ছোট ভুল করে না থাকে, যাতে এই ভুলের কারণেই ১২ তারিখ থেকে পিছিয়ে যায়।
>> আরও পড়তে পারেন
‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বিচার, সুশাসন ও মিডিয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা’
‘আমরা অনেকগুলো আশঙ্কা আমরা দেখতে পেয়েছি, সেগুলো বিষয়ে আমরা উনাদেরকে সতর্ক করেছি এলার্ট করেছি যাতে উনারা ওই বিষয়গুলো মানিয়ে সুন্দরভাবে ইলেকশনটা আয়োজন করতে সক্ষম হয়,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন যে এইখানে আমাদের ওনারা অনেকগুলো তারিখ দিয়েছে (তফসিলের), ডেট দিয়েছে যে কবে আমরা মনোনয়ন আবেদন জমা দেব, কবে তুলবো; তো সে বিষয়গুলো ওনাদের রিথিংকিং করা যায় কিনা সেটা নিয়েও আমরা ওনাদেরকে ভাবনার জন্য আজকে অনুরোধ জানিয়েছি।
ভোটের তারিখ ঠিক রেখে অন্য তারিখগুলো পরিবর্তন চেয়েছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে এনসিপির এই নেতা বলেন, কোনো তারিখ পরিবর্তন চায়নি। তবে নির্দিষ্ট তারিখে কোনো ডকুমেন্ট না দিতে পারলে যেন পরে নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়।
এসময় এনসিপি যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএইচ/এএস