জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বিচার নিশ্চিত করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করা। গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে রাষ্ট্র ও রাজনীতির কাঠামোগত পরিবর্তন জরুরি, যাতে জনগণের ন্যায্য অধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হয়।’
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ‘স্টার নির্বাচনী সংলাপ: আপনার দল, ভোটারের প্রশ্ন’ শিরোনামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী একটি রাজনৈতিক দল। গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট থেকেই আমরা আত্মপ্রকাশ করেছি এবং আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য কেবল কোনো ব্যক্তির বা দলের পতন নয়; বরং রাষ্ট্র ও জীবনের পরিবর্তনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। তিনি গণতন্ত্রের তিনটি মূল দিক তুলে ধরেন: এক, গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা; দুই, অর্থনৈতিক ন্যায় নিশ্চিত করা ও বৈষম্য দূর করা; এবং তিন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় মর্যাদা রক্ষা করা।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘জুলাই সনদে যে প্রতিশ্রুতিগুলো দেওয়া হয়েছে, তা নির্বাচনের পর বাস্তবায়ন করাই প্রধান কর্তব্য। গণঅভ্যুত্থানের পর এনসিপি ২৪ দফা অনুযায়ী কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত। সরকারের প্রকল্পগুলোতে জনগণকে হিসাবদাতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যাতে বাজেট, খরচ ও অনিয়ম সম্পর্কে তথ্য সর্বজনীনভাবে পাওয়া যায়।’
দুর্নীতি দমন, আইনশৃঙ্খলা এবং মিডিয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ওপর তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘দুর্নীতি রোধ করতে হলে অ্যাকাউন্টেবিলিটি, জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ কমিশন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন এবং মিডিয়ার স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করাই বর্তমান সময়ের প্রধান রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ।’
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ‘সামাজিক উন্নয়ন ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষার জন্য শক্তিশালী নাগরিক সমাজ এবং রাজনৈতিক কমিউনিটির প্রয়োজন। গণঅভ্যুত্থান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের উদ্দেশ্য হলো জনগণের ক্ষমতায়ন এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলা।’
এএইচ/এফএ

