images

রাজনীতি

জমিয়তকে চার আসনে ছাড়ের ঘোষণা বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৮ পিএম

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ আগামী নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতার মাধ্যমে অংশ নেবে। দলটিকে চারটি আসনে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১২টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। 

জমিয়তের নেতাদের মধ্যে দলের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

বিএনপি মহাসচিব জানান, সিলেট-৫ আসনে জমিয়তের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, নীলফামারী-১ আসনে মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল আফেন্দী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

আরও পড়ুন

দুই আসনে সন্তুষ্ট নয় গণঅধিকার পরিষদ, আবদার ১০টির

ফখরুল জানান, এসব আসনে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না। দলের সিদ্ধান্ত সবাইকে মানতে হবে। কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

বিএনপি মহাসচিব জানান, জমিয়ত নেতারা তাদের দলীয় প্রতীক খেজুর গাছ নিয়ে নির্বাচন করবেন। 

BNP2

ইসলামি দলগুলোর মধ্যে জমিয়তই এবারের নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে রয়েছে। দলটির প্রত্যাশা ছিল আরও বেশি আসন। এটি নিয়ে টানাপোড়েনও দেখা দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হলো জমিয়তের। ফলে সারাদেশে জমিয়তের যারা প্রার্থী ছিলেন তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াবেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তাদের স্বাগত জানাই। আমাদের দলের পক্ষ থেকে তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। দোয়া করছি তাদের এই উদ্যোগ যেন সফল হয়।

আরও পড়ুন

হাসিনার আসনে এবার মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিএনপি-জামায়াতের

দেশ যখন নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে তখন একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, সরকার কয়েকটা মাস যোগ্যতার পরিচয় দেবে। তবে সরকারকে ধন্যবাদ, তারা কথা রেখেছে। ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের পরিবেশ করার ব্যাপারে সরকারকে আরও সযতন, ইতিবাচক ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করা দরকার। নির্বাচন যেন সুষ্ঠু পরিবেশে হয় সেটা আমরা আশা করি। 

জেবি