images

রাজনীতি

‘একতরফা নীলনকশার নির্বাচনের পাঁয়তারা চলছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:১০ পিএম

গণদাবি উপেক্ষা করে আরেকটি একতরফা নীলনকশার নির্বাচনের পাঁয়তারা চলছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপিসহ সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিও জানায় তারা।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তোপখানা মোড়ে শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বিএনপিসহ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর এক যৌথ সভায় এ দাবি জানানো হয়। বৈঠক শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যৌথ সভার বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয়, আন্দোলনে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পরিকল্পিত সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনা ঘটিয়ে সরকার ও সরকারি দল গত ২৮ অক্টোবর বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর মহাসমাবেশ পণ্ড করে দেয়। বিএনপিসহ বিরোধীদের ওপর এই দায় চাপিয়ে গত এক মাস দমন–নিপীড়ন ও গ্রেফতারের পথে দেশব্যাপী তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।

5

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি যে সরকারের পদত্যাগের গণদাবিকে উপেক্ষা করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি একতরফা নীলনকশার নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। সরকারের এই রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে সরকারের সহযোগী হিসেবে নির্বাচন কমিশন আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। পাতানো এই নির্বাচনের অংশ হিসেবে আজ ৩০ নভেম্বর কথিত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখও নির্ধারণ করেছে।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা পরিষ্কার করে উল্লেখ করতে চাই যে সরকার যদি জেদ আর অহমিকা নিয়ে জবরদস্তি করে নির্বাচনের নামে আরেকটি তামাশা মঞ্চস্থ করতে চায়, তাহলে সরকারের এই অশুভ তৎপরতা প্রতিরোধ করা ছাড়া দেশবাসীর সামনে অন্য কোনো পথ থাকবে না।

অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য অবিলম্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলগুলো।

6

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুতফর রহমান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাড. হাসনাত কাইয়ূম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি মুহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব মো. আবুল কাশেম, এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. নেয়ামুল বশির, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশিদ খান, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির কো-চেয়ারম্যান পারভীন নাসের ভাসানী, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ ভাসানী) চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, ইসলামী ঐক্য জোটের অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল করিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাশেদ প্রধান ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান।

এছাড়া বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. তাজুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলম, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরকার চাখারী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, এডিপির চেয়ারম্যান কারী আবু তাহের, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুলহক নুর, জাস্টিস পার্টির প্রেসিডেন্ট জাভেদ সালাউদ্দিন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাসিম খান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের কমরেড ডা. নুরুল ইসলাম ও ডিএলের সভাপতি খোকন চন্দ্র দাস উপস্থিত ছিলেন।

/এএস