নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৩০ পিএম
বিএনপি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেই যে নির্বাচন একতরফা হবে তা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (২২ নভেম্বর) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে কমনওয়েলথ প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট মিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক সমঝোতা এখনো হয়নি। বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীন নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। এজন্য বিএনপিসহ সমমনা বিরোধীদলগুলো সরকারের পদত্যাগের দাবিতে হরতাল, অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। সংঘাতময় রাজনৈতিক এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
ইসির ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।
মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার আর মাত্র এক সপ্তাহের মতো বাকি থাকলেও এখনো দাবি আদায়ে রাজপথে অনড় বিএনপি।
বুধবার বিএনপিকে নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আসবে না বলেই নির্বাচন একতরফা হবে এটা ঠিক নয়, অনেকেই নির্বাচনে অংশ নেবে। একটি দলকে ঘিরে নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হতে পারে না।
বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের মতামত প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত কারও নেতিবাচক কোনো মতামত দেখিনি। তবে বিদেশিদের মতামতে আমাদের মাথাব্যথাও নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পক্ষে। তাহলে নিষেধাজ্ঞা কেন? শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে যারা বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা হওয়া উচিত।
সেতুমন্ত্রী বলেন, তফসিল পেছানো বা নির্বাচনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। সময়সীমার মধ্যে তারা তাদের যেকোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারেন। নির্বাচনের বিষয়ে ৩০ নভেম্বর পর সবকিছু স্বচ্ছ হয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব সংস্থার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে চূড়ান্ত হবে মনোনয়ন
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব সংস্থা রয়েছে যাদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে দলের প্রার্থীদের মনোনয়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রক্রিয়াটা গণতান্ত্রিক।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এবং নির্বাচন কমিশনকে আইনগত কাঠামো দিয়ে যুক্ত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। সংসদীয় আইনের মাধ্যমে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় আইনের সংস্কার করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তা প্রশংসনীয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এতো অপপ্রচারের পরেও নির্বাচনের জন্য কমনওয়েলথ প্রতিনিধিরা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে তারা পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারেন।
কারই/এমআর