images

রাজনীতি

লজ্জা-শরম ভেঙে পদ্মা সেতুর ট্রেনে উঠুন, আমরাই টিকিট কেটে দেব

নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:২২ পিএম

বিএনপি নেতাদের ট্রেনে চেপে পদ্মা সেতু পার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'বিএনপি নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করব, লজ্জা-শরম ভেঙে পদ্মা সেতুর ট্রেনে উঠুন। আমরাই টিকিট কেটে দেব। টিকিট ছাড়া আবার উঠতে যাবেন না।'

বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে আওয়ামী লীগের রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে এমন মন্তব্য করেন তিনি। ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন হাছান মাহমুদ।

গত বছরের জুন থেকে প্রমত্তা পদ্মা নদীর ওপর নির্মাণ করা সেতুটি দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। এর প্রায় এক বছর তিন মাস পর সেতুটি দিয়ে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হয়।

আরও পড়ুন

বিএনপি ভোটে আসবে, খালেদাও সুস্থ হয়ে উঠবেন: আশা তথ্যমন্ত্রীর

দেশের দীর্ঘতম সেতুটি নির্মাণকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই ক্ষমতাসীন দলের প্রতি নানা অভিযোগ তুলে এসেছে বিএনপি। এর মধ্যে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মন্তব্য ছিল উল্লেখযোগ্য। ওই সভায় তিনি বলেছিলেন- ‘পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের আমলে আর হবে না। আর যদি সেতু জোড়াতালি দিয়ে বানায়, সেই সেতুতে কেউ ওঠতে যাবেন না। অনেক রিস্ক আছে।’ খালেদা জিয়া ছাড়াও বিএনপি অনেক নেতা পদ্মা সেতু নিয়ে নানা অভিযোগ করেছেন।

বুধবার দলের সভাপতির কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা শেষে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়েছিল। পদ্মা সেতু নির্মাণের পর বিএনপি নেতৃবৃন্দ সেতু পাড়িও দিয়েছে।’

ট্রেনে বিএনপি নেতাদের পদ্মা সেতুতে ওঠার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, 'বিএনপি নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করব, লজ্জা শরম ভেঙে পদ্মা সেতুর ট্রেনে উঠুন। আমরাই টিকিট কেটে দেব। টিকিট ছাড়া আবার উঠতে যাবেন না।'

আরও পড়ুন

যুদ্ধের নামে ফিলিস্তিনিদের জিম্মি করা সমীচীন নয়: তথ্যমন্ত্রী

একটি জরিপে উঠে এসেছে দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা শতকরা ৭০ ভাগ। বিষয়টি উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'আমি জানি না এসমস্ত জরিপ মির্জা ফখরুল সাবেকদের চোখে পড়ে কি না। তাদের চোখেও সমস্যা আছে, কানেও সমস্যা আছে৷ মনেও সমস্যা। বোধশক্তিরও সমস্যা আছে৷ তাই তারা এগুলো দেখেও দেখে না। শুনেও শোনে না।'

দেশে একটি মহল আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের মতো সরকার বসাতে চায় বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আজ নানামুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দেশের গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। একটি মহল দেশে তাঁবেদার সরকার বসাতে চায়। হামিদ কারজাই মার্কা তাঁবেদার সরকার বসাতে চায়।'

হাছান মাহমুদ বলেন, 'সামনে নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনের তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে আমরা কাজ করছি। সে লক্ষ্যেই এ বৈঠক ডাকা হয়েছে৷'

আরও পড়ুন

নির্বাচনকালীন সরকার ছোট করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তখনও আমরা শক্তিশালী ছিলাম, কারণ আমাদের শক্তি জনগণ, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।'

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, 'আগামী ৫ বছর যদি আমরা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাই, ইনশাআল্লাহ এই দেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে যাওয়ার গল্প শুনবে বিশ্ববাসী।'

এ সময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

কারই/এমআর