বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

নির্বাচনকালীন সরকার ছোট করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:২৩ পিএম

শেয়ার করুন:

নির্বাচনকালীন সরকার ছোট করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই: তথ্যমন্ত্রী

সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার ছোট করার বাধ্যবাধকতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা ছোট হবে কি না, সেটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।

রোববার (৮ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক পুনর্মুদ্রিত ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত 'হোয়াইট পেপার অব দ্য ক্রাইসিস ইন ইস্ট পাকিস্তান' শীর্ষক শ্বেতপত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী।


বিজ্ঞাপন


হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার ছোট করার কোনো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যেকোনো সিদ্ধান্তই নিতে পারেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে কোনো নির্বাচনকালীন সরকার ছোট করা হয়নি। যে সরকার ছিল সে সরকারই দায়িত্ব পালন করেছে।

 

আরও পড়ুন

বিবাহিত হলে থাকতে পারবে না এমন সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক: তথ্যমন্ত্রী

 


বিজ্ঞাপন


বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন করলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে কি না- জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা তো কাউকে ছাড়া নির্বাচন করতে চাই না। আমরা সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে চাই। আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক এবং অংশগ্রহণ করুক। বিএনপি যে বলছে তাদের প্রচণ্ড জনপ্রিয়তা, তারা নির্বাচনে এসে সেটি একটু যাচাই-বাছাই করে দেখুক।

‘আমরা চাই সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে। নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করল বা করল না সেটির চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জনগণ অংশগ্রহণ করল কি না। সবশেষ সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে বিএনপি অংশ নেয়নি। কিন্তু সেসব সিটি নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছে এবং নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে।-বলেন মন্ত্রী।

 

আরও পড়ুন

প্রতিহিংসাপরায়ণ খালেদা জিয়ার প্রতি শেখ হাসিনার মহানুভবতা নজিরবিহীন

হাছান মাহমুদ বলেন, আগামী নির্বাচনেও বিএনপি এলে আমরা স্বাগত জানাই, আমরা চাই তারা অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু না এলেও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। নির্বাচন অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'ললিপপ বা ফিডার মুখে দিয়ে কেউ কোলে করে যে ক্ষমতায় বসাবে না এটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বা বিএনপি বুঝতে পেরেছে। যারাই নির্বাচনে বাধা দেবে ভিসানীতি তাদের সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে সেটিও অনুধাবন করতে পেরেছে। সেজন্য কর্মীদের বলেছেন আন্দোলন করতে হবে। এই উপলব্ধি ভালো।'

 

আরও পড়ুন

খালেদা জিয়াকে রাজনীতির দাবার গুটি বানিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

নির্বাচনে আসার অনুরোধ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, 'তারা আশা করেছিল কেউ কোলে করে তাদের ক্ষমতায় বসাবে। এটি হয়তো মির্জা ফখরুল সাহেবেরও উপলব্ধি ছিল। এজন্য খুব উৎফুল্লভাব ছিল। এখন চেহারাটা আস্তে আস্তে ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে।

নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছে, এ ব্যাপারে করা প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এটি তো ভালো, কারণ বিদেশিদের আগ্রহ আছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে বহুমাত্রিকতা আছে। দুই দেশের সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে এবং আমাদের উন্নয়নের নানা ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতার সম্পর্ক বিদ্যমান। তাদের যে প্রতিনিধিদল এসেছে আমি মনে করি সেটি ভালো দিক।

এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর