images

মতামত

ফাঁসির রায়ের পরও কঠোর বার্তা হাসিনার, ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি

২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩০ এএম

যারা কথায় কথায় তাদের ‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে রাজপথে রঞ্জিত করার’ এবং ‘শরীরের শেষ বিন্দু রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা’র অঙ্গীকার ব্যক্ত করতেন, এখন তারা তাদের ‘পবিত্র’রক্তের প্রতিটি বিন্দু রক্ষার জন্য বিদেশে পালিয়ে এবং দেশের অভ্যন্তরে আত্মগোপনে কাটাচ্ছেন। তাদের একাংশ, যারা ইতোমধ্যে কারাগারে নিরাপত্তা হেফাজতে অথবা জামাই আদরে আছেন, ‘জেলের তালা ভেঙে’ তাদের মুক্ত করার জন্য এখন কেউ আর রাজপথ দাঁপিয়ে বেড়ায় না।

ইতোমধ্যে আদালত মানবতাবিরোধী অপরাধে যে দুজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন, তারা ‘ফাঁসির মঞ্চে জীবনের জয়গান’ গাওয়ার অবস্থায় নেই। এর পরিবর্তে বরং ফাঁসির রশিতে জীবন যেতে পারে ভয়ে তাদের কথিত ‘সোনার বাংলা’কে তাদের ভাষায় ‘শ্মশানে পরিণত’ হতে দিয়ে জনতার ‘যায় যদি যাক প্রাণ, হীরকের রাজা ভাগবান’মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের প্রাণ রক্ষায় ব্যতিব্যস্ত রয়েছেন। জীবন ঝরে গেলে প্রজাদের জীবন ঝরুক, রাজা-বাদশাহদের তাতে কী আসে যায়। অতএব তারা তাদের প্রতিপক্ষকে ‘দেখে নেওয়া’র হুমকি উচ্চারণ করছেন। দিবানিশি আবোল-তাবোল বকছেন। তাদের মুখে এখন আর ‘আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে’ উচ্চারিত হয় না।

এসব ‘মহান’ দেশপ্রেমিক, বদ্বীপ অঞ্চলের বাংলাদেশকে তাদের বংশগত ও পারিবারিক উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি ভাবতেন। এই ভূখণ্ডে বসবাসকারী জনগণকে মনে করতেন তাদের প্রজা অথবা প্রজার চেয়ে হীনস্তরের ‘কেনা গোলাম।’

কিন্তু তাদের ভাবনা ও দম্ভোক্তি যে কত অসার ছিল, তা মাত্র ১৫ মাস আগে বহু বছর ধরে নিপীড়িত, ক্ষুব্ধ জনগণের সম্মিলিত কণ্ঠের ‘রশি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান’ ধ্বনি ও জনতরঙ্গে প্রমাণিত হয়েছে। তাদের অহমিকার দেয়াল ভেঙে পড়েছে। তা সত্ত্বেও এখনো তারা নিসার হয়ে পড়ার আগে সাপের মোচড় দেওয়ার মতো নড়াচড়া করছে।

ক্ষমতার মদমত্ততায় তারা অপরাধের স্পর্শমুক্ত রাজনীতিবিদদের যে আদালতের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন, সেই একই আদালত ‘এটা আমার বাবার দেশ’-এর দাবিদার বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুর, ক্রূর শাসক শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনার অঙ্গুলি হেলনে জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হত্যাযজ্ঞের শিখণ্ডী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে। তারা উভয়েই তাদের অভয়াশ্রম প্রতিবেশী দেশ ভারতে পলাতক আছেন। আদালত ঘোষিত ফাঁসির আদেশের পর তারা এখন ফেরার আসামি।

তারা যেখানে যত নিরাপদে থাকুন না কেন, মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পাওয়ার আগের ও পরের জীবনে, তাদের চিন্তা ও মননে আকাশপাতাল পার্থক্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবু তারা তাদের সহজাত প্রতিহিংসা ও জিঘাংসার ভাষা ছাড়তে পারেননি। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের ফাঁসির আদেশের পরদিন কলকাতার আনন্দবাজার ডটকম ১৮ নভেম্বর এ সম্পর্কে রসালো খবর আপলোড করেছে: “দুই বছর আগে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘এই আগুন দিয়ে যারা পোড়াবে, দরকার হলে তাদের ধরে ওই আগুনের মধ্যে ফেলতে হবে।’ঠিক দুই বছর পর এখন দিল্লিতে বসে সে নিজেই বলছে গাড়িতে আগুন দিতে।’

পত্রিকাটি আরও লিখেছে: ‘ইউনূস আমাকে কী ফাঁসি দেবে? আমি অরে ফাঁসি দেব!’ সোমবার রাতেই ফোন করে বলে দিয়েছেন হাসিনা, অনুগামীদের দাবি তেমনই।’

ফাঁসির আদেশ শুনে দমে যাওয়া তো দূরের কথা, শেখ হাসিনা বরং যুদ্ধের জন্য কোমর বাঁধছেন! তেমনই দাবি কলকাতায় থাকা তার অনুগামীদের। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও আছেন। সোমবার (১৭ নভেম্বর, ২০২৫) নেত্রীর ফাঁসির আদেশ শুনে তারা খানিকটা মনমরা হয়ে পড়েছিলেন।

hasina_dm
গণঅভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর ছাত্র-জনতার দখলে গণভবন।

পত্রিকাটি কলকাতায় পালিয়ে থাকা এক আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্য উদ্ধৃত করে লিখেছে: “সোমবার দুপুরে হাসিনার ফাঁসির আদেশ হওয়ার পর তারা কেউই নেত্রীকে ফোন করার সাহস দেখাননি। নিজেদের মধ্যে ফোনাফুনি করে বিলাপ করছিলেন। মঙ্গলবার তাদের একজন বলছিলেন, ‘আমরা বলাবলি করছিলাম, সব শেষ হয়ে গেল! আর আশা নেই।’ এর মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই সেই নেতার ফোনে ফোন করেন খোদ হাসিনা।

সেই নেতার কথায়, ‘প্রথমে নেত্রী বলেন, আমার গলায় ফাঁসির রশি আর তোমরা আমাকে একটা ফোনও করলা না?’ খানিক অপ্রস্তুত হয়ে ওই নেতা জবাব দেন, তিনি ভেবেছিলেন ফোন করবেন। কিন্তু সাহস পাননি। জবাবে হাসিনা তাকে সটান বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস তাকে কী ফাঁসি দেবেন? তিনি বরং ইউনূসকে ফাঁসি দেবেন! ওই নেতার কথায়, ‘নেত্রী বললেন, ইউনূস আমাকে কী ফাঁসি দেবে? আমি অরে ফাঁসি দিব! আল্লাহ আমারে এমনি এমনি বাঁচিয়ে রাখেননি। গ্রেনেড হামলাতেও আমার প্রাণ যায়নি!’

এখানেই রিপোর্ট শেষ করেনি আনন্দবাজার ডটকম। লিখেছে: ‘দরিদ্র এক দেশের পরাক্রমশালী এক প্রধানমন্ত্রী ও তার স্তাবকদের কেউই তাদের আনন্দঘন মুহূর্তে ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি একদিন; আর সেদিন তেমন দূরেও নয়, যখন এই গান থেমে যাবে। নিভে আসবে এই তাঁরার মেলা। চোরের মতো পালাতে হবে নিজ বাড়ি থেকে, নিজ দেশ থেকে।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। লক্ষ জনতা গণভবনের দিকে এগিয়ে আসছে, এ কথা জানার পরও তার অনুগত সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ‘লেথ্যাল উয়েপন’ ব্যবহার করে বিক্ষোভ থামাতে। সেনাধ্যক্ষরা সম্মত হননি।’

শেখ হাসিনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, যিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে কথিত ‘সম্মুখ সারির অকুতোভয়’ মুক্তিযোদ্ধা, ‘হানাদার পাকিস্তানি সৈন্যদের মূর্তিমান আতঙ্ক,’ ছিলেন, তিনি এখন তার স্বদেশবাসী নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের হাতে সামান্য নাজেহাল হওয়ার ভয়ে কলকাতায় আশ্রিত।

ফাঁসির আদেশের পর সেদিনই আনন্দবাজার ডটকমের সংবাদদাতা ঈশান দেব চট্টোপাধ্যায় তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন: ‘নিজের ফাঁসির নির্দেশ শোনা তো সহজ নয়! তবে কঠিন কিছু হবে জানতাম!’

কাগজটি আরও লিখেছে: ‘কলকাতায় নিজের দেশের আরও অনেকের মাঝে তিনি রয়েছেন ঠিকই। কিন্তু সোমবার তো সবার মধ্যে তিনি একদম একা। এ শহরে আশ্রয় নেওয়া আর কারও ফাঁসির নির্দেশ তো হয়নি। ঢাকা থেকে তার অবস্থান এখন মোটামুটি ৩০৬ কিলোমিটার দূরে। এই দূরত্ব কি আর কোনো দিন ঘুচবে? আর যদি ঘুচেও যায়, তাহলে কি প্রাণটা বাঁচবে?

হাসিনা জামানার শেষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধে লড়েছি। প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়েছি।’

ফোনে কথা বলার সময়ে কণ্ঠের সে বলশালী ভাব ধরে রাখার চেষ্টাও নিরন্তর চালাচ্ছেন।

কিন্তু অলক্ষ্যেই কপালের বলিরেখাগুলো গভীর হয়ে উঠছে কি?’ কিছুক্ষণ আগেই তিনি নিজের ফাঁসির আদেশ শুনেছেন। তার নিজের দেশের এক আদালত তাকে ‘গণহত্যা’র দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির শাস্তি দিয়েছে। বাংলাদেশের আদালত ঘোষণা করেছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তারও ফাঁসি হবে।’

hasina
গণঅভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার মুহূর্ত।

আনন্দবাজার ডটকম লিখেছে: ‘হাসিনা দিল্লিতে রয়েছেন, সে কথা এখন গোটা বিশ্ব জানে। বাকিদেরও অধিকাংশই যে ভারতেই রয়েছেন, তা আবার অনেকে জেনেও জানেন না। আসাদুজ্জামানের অবস্থানও অনেকটা তেমনই। কলকাতায় রয়েছেন। পরিচিত বা বিশ্বস্ত বৃত্তের কাছে সে কথা গোপন করছেন না। তবে কোথায় থাকছেন, কী করছেন ইদানীং, সে বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিচ্ছেন না।

১৭ নভেম্বর (সোমবার) দুপুরে আরও অনেকের মতো আসাদুজ্জামানও উৎকণ্ঠা নিয়ে টেলিভিশনে নজর রেখে বসেছিলেন। বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনাল কী রায় ঘোষণা করছেন, তার সরাসরি সম্প্রচার দেখছিলেন। কলকাতার যে অংশে তিনি বছরখানেক ধরে রয়েছেন, সে এলাকা ঈষৎ জনবিরল। ঘিঞ্জি মহানগর পরিসরের বাইরে। তার ওপরে থাকেনও প্রায় একাই। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন যেমন লোকলস্কর, সিপাইসান্ত্রী নিয়ে দিনভর ওঠাবসা ছিল, ঠিক তার বিপরীত মেরুতে এখন তার বাস। সেই আপাত একাকিত্বের মধ্যে বসেই শুনলেন বিচারপতির উচ্চারণ, ‘আসাদুজ্জামান খাঁনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে।’

শুনে ক্ষণিকের জন্য কি বিদ্যুৎ খেলে গিয়েছিল তার মেরুদণ্ড বেয়ে? তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম এই রকম রায়ই হবে। তাই চমকে যাইনি।’

চমকে হয়তো যাননি। হয়তো মানসিক প্রস্তুতি ছিলই। তবু টেলিভিশনের সামনে বসে নিজের ফাঁসির আদেশ শোনা কি সহজ? তার পরে বললেন, ‘ঠিকই বলেছেন। নিজের ফাঁসির নির্দেশ শোনা সহজ তো নয়ই। সহজ মনেও হয়নি।’

যুক্তরাজ্যের অন্যতম থিঙ্কট্যাঙ্ক চ্যাথাম হাউসের ডিজিটাল সোসাইটি প্রোগ্রামের অ্যাকাডেমি অ্যাসোসিয়েট নাজাম লায়লা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করেছেন ১৮ নভেম্বর “শেখ হাসিনার রায় ও আসন্ন গণভোটে দক্ষিণ এশিয়ায় পালাবদলের ইঙ্গিত’শিরোনামে লেখা তার এক নিবন্ধে।

তিনি বলেছেন: ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও বেড়েছে। কারণ দুই দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকা সত্ত্বেও নয়াদিল্লি শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ উপেক্ষা করেছে।’

july_
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা।

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর বাংলাদেশ এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়েছে। শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে এ দণ্ড দেওয়া হয়। এ রায় কেবল একটি রাজনৈতিক পরিবারের পতনকেই সামনে আনেনি; বরং বাংলাদেশের আসন্ন গণভোট ও নির্বাচন মিলে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির একটি ফাটলের ইঙ্গিতবহ এবং পাশাপাশি সম্ভাব্য আরও বহুমাত্রিক আঞ্চলিক ব্যবস্থার দ্বার উন্মোচন করতে পারে, যেখানে বাংলাদেশ ভারতের ওপর কম নির্ভরশীল থাকবে।

বাংলাদেশের বিপ্লব শুধু শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটায়নি; বরং বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার দল আওয়ামী লীগ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) যে কয়েক দশকের পুরোনো দ্বিদলীয় আধিপত্য ছিল, সেটিও ভেঙে দিয়েছে।’

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপোড়েন হয়তো চলতেই থাকবে। কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগ যে নিশ্চেষ্ট থাকবে না, তা অনেকটা নিশ্চিত ধারণা করা যায়। দিল্লিতে বসে শেখ হাসিনা টেলিফোনে নিয়মিত অন্তর্বর্তী সরকারসহ সব প্রতিপক্ষকে হুমকি দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় আমেরিকায় বসে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন বানচাল করতে নাশকতার ইঙ্গিত দিয়ে চলেছেন, যা কোনো শুভ ইঙ্গিত নয়।

এ ধরনের হুমকি ও হুঁশিয়ারি দেশের জন্য যতটা না অশুভ, আওয়ামী লীগের জন্যও বিশেষভাবে অকল্যাণকর। ইতোমধ্যে লক্ষ করা গেছে যে শেখ হাসিনা যখনই কোনো হুমকি দিচ্ছেন, কর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছেন রাজপথে নামতে, তখনই দেশে আওয়ামী লীগবিরোধীরা সহিংস বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে। তাতে হুমকি ও উস্কানিদানকারীদের কিছু না হলেও দেশে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ঘটছে।

এ পরিস্থিতির অবসানে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠান এবং নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জনপ্রতিধিত্বমূলক সরকারের সবচেয়ে জরুরি কাজ হবে অন্তর্বর্তী সরকারের উত্তরাধিকার ধরে রাখা, যা দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পূর্বশর্ত।

লেখক: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী প্রখ্যাত সাংবাদিক