নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:০২ পিএম
মেট্রোরেল পরিষেবার প্রথম ধাপের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যদিয়ে মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। আধুনিক এই যাত্রায় চাইলেও কেউ ধূমপান কিংবা তামাকসেবন করতে পারবেন না। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে যথার্থ সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশে তামাকবিরোধী জোট।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ধূমপান নিষিদ্ধের এই সিদ্ধান্তকে যথার্থ বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটি।
মেট্রোরেলে ধূমপান ও তামাক ব্যবহার নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিরাপত্তার সঙ্গে এই পরিবহনকে পরিচ্ছন্ন রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে জানিয়ে এতে আরও বলা হয়, এ সিদ্ধান্ত দেশের অন্য সকল পাবলিক পরিবহন ও প্লেসের জন্য একটি দৃষ্টান্ত। আমরা আশা করি, প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীতে সকল পাবলিক প্লেস ও পরিবহন মেট্রোরেলের মতো সম্পূর্ণ ধূমপানমুক্ত করার লক্ষ্যে ধূমপানের স্থানের বিধান বিলুপ্ত করা হবে এবং জনগণের ব্যবহৃত সকল স্থান ধূমপানমুক্ত করা হবে।
বিবৃতিতে তামাকবিরোধী জোট জানায়, গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভের (গ্যাটস) ২০১৭ সালের তথ্যমতে- বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন এমন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ৮১ লাখ (৪২ দশমিক ৭ শতাংশ) পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। এছাড়া প্রায় ২৫ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ গণ-পরিবহনে যাতায়াতের সময় (৪২ শতাংশ) এবং প্রায় ১ কোটি নারী পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হয়ে থাকে। বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো গোপনে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ধূমপানের স্থান করে দিচ্ছে, যাতে ধূমপান বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
>> আরও পড়ুন: মেট্রোরেলে ধূমপানে মানা, পোষা প্রাণী-আগ্নেয়াস্ত্রেও নিষেধাজ্ঞা
ধূমপায়ীদের ধূমপান ত্যাগে উৎসাহী করতে এবং অধূমপায়ীদের রক্ষায় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বা ডেজিগনেটেড স্মোকিং জোন বিলুপ্ত করতে হবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চতুর্দিকে দেয়াল দ্বারা আবদ্ধ নয় এমন রেস্তোরাঁসহ সব ধরনের হোটেল, পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র এবং সকল যান্ত্রিক গণপরিবহন ও অ-যান্ত্রিক গণ-পরিবহনে ধূমপান সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি ধূমপানমুক্ত ভবন বলতে সেই ভবনের বারান্দাসহ সকল আচ্ছাদিত স্থানকেও আইনে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি বলেও মনে করে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট।
ডিএইচডি/আইএইচ