images

জাতীয়

জ্বালানির দাম: এক-দুই মাস ধৈর্য ধরতে বললেন প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ আগস্ট ২০২২, ০৪:০৪ পিএম

জ্বালানি তেলের দামের ক্ষেত্রে দু-এক মাস ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, আমরা বিশ্ব পরিস্থিতি অবজার্ভ করছি। আপনারা এক-দুই মাস ধৈর্য ধরেন। বিশ্বের পরিস্থিতি যদি এরচেয়ে খারাপ না হয়, আমরা একটা ভালো সমন্বয় করবো।

রোববার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এই কথা বলেন। ‘এনার্জি সিকিউরিটি ইন বাংলাদেশ: ভোলাটাইল ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে এফইআরবি।

নসরুল হামিদ বলেন, কেউ কি ভবিষ্যতবাণী করতে পেরেছে যে, ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। সারা বিশ্বে গ্যাসের চাহিদা বেড়ে যাবে। বরং আমাদের দেশে আমরা চেষ্টা করেছি ভর্তুকি দিয়ে কীভাবে আরও বেশিদিন চলা যায়। আমরা আশা করছি, আগামী মাসের মধ্যে লোডশেডিং থাকবে না।

আরও পড়ুন: শিল্প খাত পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা, কমবে রফতানি আয়

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে সোর্স থেকে আমরা গ্যাস কিনি, সেই সোর্স থেকে জার্মানও কিনে। জার্মানকে যে দামে তেল কিনে, আমাদেরকেও সেই দামে কিনতে হয়। বিশ্বের কোনো দেশের পরিস্থিতি এখন ভালো না। আমরা অনেক দেশের থেকে ভালো আছি। এখন যে সমস্যা চলছে এটা সাময়িক। কে চায় মানুষকে কষ্ট দিতে! শেখ হাসিনা সরকার জনবান্ধন সরকার। জনগণের ভোগান্তি হোক তা সরকার চায় না। আমরা তো ভালোই ছিলাম। কখনও তো এই ধরনের ক্রাইসিসে পড়িনি।

nasrul22

নসরুল হামিদ আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশে ১৬-১৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকত না। বিএনপি জ্বালানির ক্ষেত্রে কোনো দর্শনই ছিল না। তাদের মাথায় ছিল দুর্নীতি। বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

আরও পড়ুন: বিএনপির আমলে ১৬-১৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকত না: প্রতিমন্ত্রী

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আমাদের গ্যাসফিল্ড থাকা উচিত। যখন অর্থনৈতিক ভঙ্গুর অবস্থা, ঠিক তখন বঙ্গবন্ধুর এ সিদ্ধান্ত ছিল অত্যান্ত সাহসী পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর জ্বালানি ক্ষেত্র প্রসারিত করেন।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল ইমাম, ক্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলম প্রমুখ। 

টিএই/জেবি