জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২৯ পিএম
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লাগা আগুন এখনও নির্বাপন সম্ভব হয়নি। প্রায় ২৩ ঘণ্টা হতে চলেছে; তবুও বিমানবন্দরের আট নম্বর গেটের পাশে কেমিক্যাল গোডাউন থেকে এখনও ধোঁয়া উড়ছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) দুুপুর সাড়ে ১২টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।
তিনি জানান, আগুন এখনও পুরোপুরি নির্বাপন হয়নি। আমরা কাজ করছি। নির্বাপন হলে জানানো হবে। শনিবার দুপুর দেড়টা থেকে পৌনে ২টার মধ্যে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এরপর সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। কার্গো ভিলেজের তিনটি অংশের দুটি আগুনে পুড়ে যায়। পরে সেই আগুন ছড়ায় আট নম্বর গেটের কেমিক্যাল গোডাউনে। তবে রাত ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডিজি জানিয়েছিলেন, তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন তবে নির্বাপন হয়নি। নির্বাপন হতে সময় লাগবে। তার ভাষ্যমতে, কিছু সময় পরেই আগুন নির্বাপন হবে। কিন্তু রাত পেরিয়ে আজ দুপুর হলেও তার বক্তব্য বাস্তব হয়নি।
এদিকে এই ঘটনার পর শনিবার রাত ৯টা থেকে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এই ঘটনায় ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইজন, আনসারের ২৫ জন এবং অন্যান্য সংস্থার ১০ জন মিলে মোট ৩৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রোববার সকালে সেখান গেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা, বেসামরিক বিমান চলাচল উপদেষ্টা ও বিজিএমই’র সভাপতি। তারা পরির্দশন শেষে দুপুরে সংবাদ মাধ্যমগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।
এই প্রথম নয়, শাহজালাল বিমানবন্দরের বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এই প্রথম বিমানবন্দরে কোনো আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলো। যদিও ঘটনাটি বড় ছিল কিন্তু তেমন কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
জানা গেছে, এই ঘটনায় শনিবার দুপুর থেকে রাত অবধি ডিএমপির পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য যুক্ত ছিল। এ ছাড়াও উত্তরা বিভাগের ছয়টি থানার পুলিশ সদস্যদের এই কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছিল। একসঙ্গে কাজ করেছেন নৌ বাহিনী, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, আনসার, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ফলে দ্রুত এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এমআইকে/এফএ