নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ আগস্ট ২০২৫, ০৭:০০ এএম
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তন থেকে সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, গ্রেফতারদের বক্তৃতা, লেখালেখি ও প্রকাশিত বই বিশ্লেষণ করে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তার ভাষায়, লতিফ সাহেবের বক্তব্য ও যে ব্যানারে তা প্রচারিত হয়েছে, সেটি পর্যালোচনা করা হয়েছে। তাদের লেখালেখি, বই ও কলাম মিলিয়ে আমরা একটি নির্দিষ্ট চিন্তাধারার দিকেই অগ্রসরমানতার ইঙ্গিত পেয়েছি, যা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতাভুক্ত।
তিনি আরও বলেন, তাদের বক্তৃতা ও বিবৃতিগুলো রাষ্ট্রের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে ডিআরইউতে ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি সংগঠন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল গণফোরামের সাবেক সভাপতি ড. কামাল হোসেনের। তবে অনুষ্ঠান শুরুর কিছু সময়ের মধ্যেই সেখানে হট্টগোল দেখা দেয়। পরবর্তীতে দুপুর ১২টার দিকে ডিবি পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে আটক করে।
যদিও বৃহস্পতিবার রাতের দিকে, এক বিজ্ঞপ্তিতে গণফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—ড. কামাল হোসেনের অনুমতি ছাড়াই তাকে ওই গোলটেবিল বৈঠকের প্রধান করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গণফোরাম প্রতিবাদ জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তিদের বক্তব্য, ব্যানার, প্রকাশনা এবং অনুষ্ঠান আয়োজনের পেছনে উদ্দেশ্য সবকিছু তদন্ত করে তারা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের উপযুক্ত ধারায় মামলা করেছে। ঘটনার পর থেকে ডিআরইউ প্রাঙ্গণজুড়ে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
এ ঘটনায় সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন, রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা দমনে এটি একটি বার্তা। অন্যদিকে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, কারো মতপ্রকাশ নয়, বরং সুনির্দিষ্ট আলামতের ভিত্তিতেই এই গ্রেফতার করা হয়েছে।
এইউ