images

জাতীয়

ঈদে চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ১৭ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ মে ২০২৫, ০৯:২১ পিএম

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, পশু আনা–নেওয়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক বিষয়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনকে আহ্বায়ক করে ১৭ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৩ মে) ‘কোরবানি সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ কমিটি’ পুনর্গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: পশুর চামড়া খাওয়া কি জায়েজ?

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা, সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা, ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়), বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, শিল্প সচিব, এনজিও প্রতিনিধি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও বেসরকারি প্রতিনিধি (সরকার মনোনীত)। কমিটিতে সদস্যসচিব থাকবেন বাণিজ্য সচিব।

কমিটি সঠিকভাবে চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং এজন্য পর্যাপ্ত লবণের সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া নির্ধারণ; চামড়ার উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করা এবং কোরবানির সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবেন।

এছাড়া চামড়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বার্থ সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান; কোরবানির হাট, পশু পরিবহন এবং পরিবহনের সময় নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধের বিষয়ে নির্দেশনা জারি এবং চামড়া শিল্প নগরী, সাভারসহ সারাদেশে দ্রুত ও যথাযথভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে এ কমিটি।

আরও পড়ুন: কোরবানির চামড়া বিক্রির টাকা নিজের প্রয়োজনে খরচ করা যাবে?

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। কমিটির সভা প্রয়োজন অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ৪ মে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকে এই কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সে সময় তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমরা দেখছি মানুষ কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সমাজের হতদরিদ্র মানুষ, যারা এই চামড়া বিক্রির টাকার ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। এই অব্যবস্থাপনার অবসান হওয়া প্রয়োজন।’

এমআর/এএইচ