নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪২ পিএম
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন ঘটলে ৮ আগস্ট পর্যন্ত দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না। প্রশাসনও ছিল নিষ্ক্রিয়। এই সুযোগে পালিয়ে যাওয়া বেশির ভাগ আওয়ামী লীগ নেতা দেশ ছাড়েন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এখন পালিয়ে যাওয়া সহজ নয় বলে মনে করেন তিনি।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরা এপিবিএন সদর দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে উপদেষ্টা শহীদ মীর মুগ্ধের স্মরণসভা, মিলাদ মাহফিল, মীর মুগ্ধ ভবন ও এপিবিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রবেশ তোরণ উদ্বোধন করেন।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতাদের পালিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আগেই পালিয়ে গেছেন। আগস্টের ৫, ৬ ও ৭ তারিখে। এখন পালানো কঠিন হয়ে গেছে। বর্ডার এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
গণহারে মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন কোনো মামলা পুলিশ বাদী হয়ে করছে না। এই মামলাগুলো করছে সাধারণ জনগণ। তারা (জনগণ) ১০ জনের নাম দিচ্ছেন, হয়ে যাচ্ছে ১০০ জনের নামে মামলা।
আরও পড়ুন
বিদেশে দেখা মিলছে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের!
এবার ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে হাসিনার ফোনালাপ, প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি
ওবায়দুল কাদেরসহ প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতারা কোথায় আছেন, তারা গ্রেফতার হচ্ছেন না কেন, এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) আমাদের তথ্য দিন। আমাদের দায়িত্ব তাদের গ্রেফতার করা। আপনাদের দায়িত্ব আমাদের তথ্য দেওয়া। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে, আপনারাও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করেন। পলাতকদের তথ্য পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, গণঅভ্যুত্থানে যারা মারা গেছেন তারা সবাই শহীদ। আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকার বহন করবে। প্রয়োজনে বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে তাদের চিকিৎসা করা হবে। গুরুতর আহতদের বিদেশে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
যারা এখনো কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন, তারা আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নেই বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বারবার সুযোগ দেওয়ার পরও তারা যোগদান করেননি। তাদের ব্যাপারে এটিই অন্তর্বর্তী সরকারের শেষ সিদ্ধান্ত।
জেবি