নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ মে ২০২৪, ০২:৪১ পিএম
স্বল্পআয়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (২০ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওলামা লীগের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা জানান।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকা সিটিতে ব্যাটারিচালিত তিন চাকার গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু আজকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দিতে বলেছেন। কিন্তু ২২টি মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ থাকবে।
গত ১৫ মে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিআরটিএ ভবনে মন্ত্রীর সঙ্গে ওই সভায় ঢাকার দুই মেয়রও শহরের মধ্যে এসব ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধের বিষয়ে তাদের সম্মতি দেন।
সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা। দাবি আদায়ে গতকাল মিরপুরে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। আজও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকরা। এমন অবস্থার মধ্যে ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশের কথা জানান।
সোমবার ওলামা লীগের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় সেতুমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি ও দুর্মূল্যের বাজারে স্বল্পআয়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ২২টি মহাসড়কে আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকবে।
ওলামা লীগে চাঁদাবাজের স্থান নেই এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ধর্মের নামে ধর্ম ব্যবসা চলবে না। আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে হলে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতার আদর্শ মেনে চলতে হবে। শেখ হাসিনার সৎ রাজনীতিকে অনুসরণ করতে হবে। ফ্রি স্টাইলে যা খুশি বলিবেন, এই রকম লোকের আমাদের দরকার নেই।
ওলামা লীগের ইতিহাস খুব সুখকর নয় মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতে যা দেখেছি কার সঙ্গে কারো মিল নাই। নেতায় নেতায় বিভেদ। অনেককে দলের আদর্শ পরিপন্থী সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিতে দেখছি। আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কেউ উচ্চারণ করবে সেটা আমি আশা করি না। নেতায় নেতায় বিভেদ আর চাই না। সত্যিকারের ওলামা দিয়ে গঠন করতে হবে। কোন টাউট বাটপার যেনো অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
কারই/এমআর