images

জাতীয়

‘চপও ১০ টাকা, পাঁচ টাকার কোনো দামই নাই’

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ মার্চ ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম

বছর ঘুরে ফিরেছে রমজান। ফিরেছে ইফতার৷ এই এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ইফতারসামগ্রীর দাম। এই ইফতারের বাজারে পাঁচ টাকা যেন মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। যেকোনো ইফতার সামগ্রীর দাম শুরু ১০ টাকা থেকে৷

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর কয়েকটি ইফতার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলুর চপ, বেগুনি, পেঁয়াজুর সর্বনিম্ন দাম ১০ টাকা। পাঁচ টাকায় কোনো কিছুই মিলছে না।

গত বছর রাজধানীর উন্নত এলাকাগুলোতে এই দামেই বিক্রি হয়েছে এসব ইফতার সামগ্রী। তবে নগরীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীর চর ও বাড্ডা এলাকার একাংশে ২০২৩ সালের রমজানেও পাঁচ টাকায় বিভিন্ন চপ পাওয়া গেছে৷ তবে এবার কোথাও পাঁচ টাকা মূল্যের চপের দেখা মেলেনি৷

নগরীর রায়ের বাজার এলাকা থেকে ইফতারসামগ্রী কেনার পর ঢাকা মেইলের সঙ্গে নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন আব্দুল্লাহ আল কাফি। তিনি বলেন, 'চপ ১০ টাকা করে। ৫ টাকার তো কোনো দামই নাই।'

আরও পড়ুন

‘কিনে খেতে তো পারব না, তাই ছবি তুলে নিলাম’

সৈকত রহমান নামে একজন ক্রেতা অভিযোগ তুলেছেন ছোলার বিষয়ে৷ তিনি বলেন, 'ছোলার দামও অনেক বেড়েছে৷ ২০ টাকায় যেটুকু ছোলা দিয়েছে, তা একজনের জন্য যথেষ্ট না।'

Ifter2

ইফতারসামগ্রী বিক্রির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ২০ টাকার কমে কোথাও ছোলা বিক্রি হচ্ছে না।

আরও পড়ুন

কমলার চেয়ে লেবুর দাম বেশি!

হালিমের বাজারে আভিজাত্যের ছাপ সুস্পষ্ট হয়েছে৷ গত বছরও বিভিন্ন এলাকায় ৫০ টাকা বাটি হিসেবে হালিম বিক্রি হয়েছে। রোজার আগেও নগরীর বিভিন্ন স্থানে ৫০ টাকা বাটি দরে হালিম বিক্রি হতে দেখা গেছে। রমজানকে কেন্দ্র করে হালিমের সর্বনিম্ন দাম ১০০ টাকা। ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে খোলা মুড়ি।

কারই/জেবি