জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম
রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ২৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তাদের গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের মদদ দিচ্ছে সমাজের প্রভাবশালীরা। ফলে তারা বিভিন্ন এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদেরকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য মিলেছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর টিকাটুলিতে র্যাব-৩ কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রাব্বি (২০), মো. হৃদয় (২০), মো. মুন্না (২০), মো. হাসান (২০), আব্দুর রশিদ এসহাক ওরফে রকি (২৬), মো. শুভ (২০), মো. সিফাত (১৮), মো. রাকিব (১৮), মো. তন্ময় হোসেন (১৮), মো. মিলন (১৯), মো. রাজন (১৯), মো. ইয়াছিন (১৯), মো. ইমন (১৮), আবু তাওহীদ সাফির (২০), মো. সিয়াম (১৯), মো. রাকিবুল ইসলাম (২০), মো. জাকির হোসেন (৩০), মো. রাকিব (২৩), মো. নাফিস হোসেন মুন্না (২৪), মো. শুভ (২২), মো. রবিউল শেখ (২৪), মো. মোশারফ (২৫),মো. সোহেল (২৭), মো. শুভ (২৭), মো. বাবুল খান (৩৬) মো. নজরুল হক (৩২) ও মো. বাবুল হোসেন (৩৬)।
এসময় তাদের কাছ থেকে ৩টি চাপাতি, ২টি ক্ষুর, ১০টি চাকু, একটি স্টিলের ব্রাস নাকল্স, দুটি সুইচ গিয়ার, একটি চাইনিজ চাকু, একটি এন্টিকাটার, ১টি কাঁচি, একটি লোহার রড, ২৫টি মোবাইল ফোন, ২০টি সিমকার্ড এবং নগদ ১৪ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, এলাকার প্রভাবশালীদের মদদে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা রাজত্ব করছিল। তাদের পেছনে আমাদের গোয়েন্দা টিম কাজ করছে।
গ্রেফতারকৃত কিশোর গ্যাং সদস্যরা নানা পেশার আড়ালে থেকে গ্যাংগিরি করে বেড়াতো জানিয়ে তিনি বলেন, তারা পেশায় গাড়ির হেলপার ও ড্রাইভার, গ্যারেজ মিস্ত্রি, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, পুরনো মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা হলেও মূল পেশার আড়ালে তারা মূলত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নানা ধরনের অপরাধে জড়িত ছিল।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতাররা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের নামে পেশীশক্তি প্রদর্শন করে আসছিল। মাদক সেবন, সাইলেন্সারবিহীন মোটরসাইকেল চালিয়ে বিকট শব্দ করে জনমনে ভীতির সঞ্চার, স্কুল-কলেজে বুলিং, র্যাগিং, ইভটিজিং, ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাদক সেবন, অস্ত্র প্রদর্শন এবং অশ্লীল ভিডিও শেয়ারসহ নানা অনৈতিক কাজে লিপ্ত।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, শাহজাহানপুর, সবুজবাগ, শ্যামপুর, বংশাল ও তার আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য পায় র্যাব। গ্রেফতারকৃত গ্রুপগুলোর মধ্যে রকি গ্রুপটি রাজধানীর শ্যামপুর কদমতলী, যাত্রাবাড়ীসহ আশপাশের এলাকায় আসামি রকির নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করত।
এমআইকে/এমএইচএম