images

জাতীয়

‘কোনোমতে জানডা নিয়া বাইর হইছি’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:২৭ এএম

‘ভাইরে আমাগো সবই শেষ হইয়া গেল। চোখের সামনে সব পুড়ে শ্যাস হয়া গেছে। আমরা এখন কই যামুরে ভাই? কিচ্চু নিবার পারি নাই। কোনোমতে জানডা নিয়া বাইর হইছি।’

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের আগুনে পুড়ে যাওয়া মোল্লাবাড়ি বস্তির পাশে দাঁড়িয়ে এভাবে কথাগুলো বলছিলেন আর বিলাপ করছিলেন এক ব্যক্তি। আগুনে যারা ঘরও পুড়ে গেছে।

আরও পড়ুন

কাঠ-বাঁশের ঘর হওয়ায় দ্রুত ছড়ায় মোল্লাবাড়ি বস্তির আগুন

ওই ভুক্তভোগী বলেন, ‘আগুন লাগার পর কেডা ক্যাম্মে দিয়া বাইরাইছে কইতে পারি না, জিনিসপত্র কেউই আনতে পারে নাই। সবার জিনিসপত্র ফালায়া থ্যুইয়া জান লইয়া বাইরায়া পড়ছি।’

আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমরা ঘুমে আছিলাম। এই টাইমেও জাগনা হইয়া কাঁচাবাজার যাই আমরা, মাল কিনি তো। হেইসময় উঠছি, কয় আগুন লাগছে, আগুন লাগছে। খালি বাইর হইছি হেইডাই, আর কিচ্ছু করতে হারিনাই।’

fire-3

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বস্তিটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে যান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট।

বস্তিবাসীর দাবি, সেখানে পাঁচ শ ঘর ছিল। তার মধ্যে তিন শই পুড়ে গেছে। আর বেশিরভাগ ঘরই ছিল ঝুপড়ি।

আরও পড়ুন

ঘুমে থাকা বস্তিবাসী জেগে দেখলেন সব পুড়ে শেষ

ভুক্তভোগীরা বলছেন, আগুন লাগার পর তারা পরনের কাপড় ছাড়া সঙ্গে কিছুই আনতে পারেননি।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যবসায়ী কান্না করতে করতে বলেন, ‘ভাই যা আছে সবই শেষ, আমরা কই যামুরে ভাই?

fire-2ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন জানান, কাঠ, বাঁশ আর টিনের তৈরি একতলা-দোতলা আনুমানিক তিন শ ঘরবাড়ি পুড়েছে। বেশি কাঠ-বাঁশ হওয়ার কারণে আগুনটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত বস্তিতে শর্টসার্কিট বা গ্যাসের লাইন থেকে আগুন লাগে। কীভাবে এই আগুন লেগেছে সেটা আমরা তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তীতে জানাব।

এমআইকে/এমআর