জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৩ এএম
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা কারওয়ান বাজার থেকে কিছুটা দূরে তেজগাঁওয়ের মোল্লাবাড়ি বস্তি। কাঠ, বাঁশ আর টিনের তৈরি একতলা-দোতলা আনুমানিক তিন শ ঘরবাড়িতে বসবাস করতেন অনেক নিম্নআয়ের মানুষ। শুক্রবার রাতের আগুনে এসব পরিবারের সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের লোকজন বলছেন, আগুন লাগার কারণ তদন্ত শেষে জানা যাবে। তবে ঘরগুলোতে বেশি কাঠ-বাঁশ হওয়ার কারণে আগুনটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
শুক্রবার রাতে আগুন নির্বাপনের পর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন জানান, আগুনে কাঠ, বাঁশ আর টিনের তৈরি একতলা-দোতলা আনুমানিক তিন শ ঘরবাড়ি পুড়েছে। বেশি কাঠ-বাঁশ হওয়ার কারণে আগুনটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত বস্তিতে শর্টসার্কিট বা গ্যাসের লাইন থেকে আগুন লাগে। কীভাবে এই আগুন লেগেছে সেটা আমরা তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তীতে জানাব। রাতের ওই আগুনে মা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও একজন। আগুনে পুড়ে গেছে বস্তির অন্তত তিন শ ঝুপড়ি ঘর। গভীর ঘুমে থাকাবস্থায় আগুন লাগায় বেশিরভাগ বস্তিবাসীই পরনের কাপড় ছাড়া জিনিসপত্র কিছুই রক্ষা করতে পারেননি।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুনের খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান তারা। তবে কাঠ, বাঁশ আর টিনের তৈরি বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকল বাহিনীকে। একপর্যায়ে ১৩টি ইউনিটের প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুনে ঘর হারানো এক ভুক্তভোগী বলেন, যে যেমনে পারছে বের হইছে। কিছু নিয়ে বের হতে পারেনি কেউ।
আরেকজন ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমরা ঘুমে আছিলাম। এই টাইমেও জাগনা হইয়া কাঁচাবাজার যাই আমরা, মাল কিনি তো। হেইসময় উঠছি, কয় আগুন লাগছে, আগুন লাগছে। খালি বাইর হইছি হেইডাই, আর কিচ্ছু করতে হারিনাই।’
ভোররাতের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও কীভাবে এই আগুনের সূত্রপাত তা এখনো জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, তদন্তের পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যাবে।
বিইউ/এমআর