images

জাতীয়

২৫ ডিসেম্বর থেকে জেলায় যাবে ব্যালট পেপার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:২৫ পিএম

প্রতীক বরাদ্দের পর এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার মুদ্রণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যালট পেপার ছাপানো শেষ করতে চায় সংস্থাটি। ইতোমধ্যে ছাপা শুরু হওয়ায় ২৫ ডিসেম্বর থেকে তা জেলায় জেলায় পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান তিনি।

এক্ষেত্রে যেসব আসনে প্রার্থিতা নিয়ে মামলা নেই সেই আসনগুলোর ব্যালট পেপার শুরুতে ছাপানো হচ্ছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তিনি বলেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যালট পেপার মুদ্রণের কাজ শেষ হবে। আর ২৫ ডিসেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় জেলায় জেলায় পৌঁছাবে পেপার।

আরও পড়ুন

ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে যাবে ব্যালট 

১৮ তারিখ প্রতীক বরাদ্দ শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৩০০ আসনে প্রার্থীদের তালিকা পেয়ে গেছি, সে অনুযায়ী ব্যালট পেপার প্রিন্টিংয়ের কাজ চলমান। বিজি প্রেসের তিনটি প্রেসে ব্যালট পেপার প্রিন্ট হচ্ছে। যেসব নির্বাচনী আসনে প্রার্থিতা নিয়ে মামলা রয়েছে, ওই সব আসনে পরে ছাপানোর কাজ শুরু হবে।

৪০টির বেশি আসনে মামলা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ব্যালট মুদ্রণ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে চাই। যেসব নির্বাচনী এলাকায় কোনো মামলা নেই, সেখানের পেপার আগে মুদ্রণ হবে। যেসব নির্বাচনী এলাকায় মামলা রয়ে গেছে, হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পেতে পারে, কারও প্রার্থিতা চলে যেতে পারে, সেসব এলাকায় আগে মুদ্রণ করলে পুনরায় মুদ্রণ করতে হবে। আগেরগুলো বাতিল হয়ে যাবে, এক্ষেত্রে যেসব আসনে প্রার্থিতা নিয়ে মামলা রয়েছে সেসব আসনে মুদ্রণ পরে হবে।

ব্যালট পেপার মুদ্রণে সুনির্দিষ্ট বাজেট নেই জানিয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, বিজি প্রেসের চাহিদার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে তাদের ৩৩ কোটি টাকা দিয়েছি। যে ভোটার আছে, তত সংখ্যক ব্যালট ছাপানো হবে। ২৫ তারিখের পর জেলা পর্যায়ে ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু হবে। যেগুলো শেষ হবে সেগুলো আগে চলে আসবে।

আরও পড়ুন

ভোটের দিন কেন্দ্রে ব্যালট পেপার গেলে স্বচ্ছতা বাড়বে: সিইসি 

এই কর্মকর্তা বলেন, ব্যালট পেপার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে চলে যাবে। তারপর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংরক্ষিত হবে। কেননা ভোটের দিন জেলা থেকে উপজেলায় এগুলো পাঠানো সম্ভব হবে না। ভোটের দিনের জন্য মালামাল ও ব্যালট বাছাই করতে হয়। সেগুলো আগেই করতে হবে।

ব্যালট ও নির্বাচনী সামগ্রীর নিরাপত্তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ব্যালট পেপার নিরাপত্তা কীভাবে দেবে সেটা নিরাপত্তা বাহিনী ঠিক করবে। নিরাপত্তার মাধ্যমে ব্যালট পেপার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাবে। ইসি তো কোনো স্পেসিফিক বাহিনীকে বলে দেবে না, যে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। নিরাপত্তা বাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সব নিরাপত্তা সামগ্রী পেয়ে গেছি। স্ট্যাম্পটা নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছায়নি। অন্যান্য সামগ্রী আগেই পৌঁছে গেছে। ২-৩ দিনের মধ্যে স্ট্যাম্প পৌঁছে যাবে।

বিইউ/জেবি