অবশেষে ভোটগ্রহণের দিন সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে হাওড়, পার্বত্য ও যেসব দুর্গম এলাকায় সকালে পাঠানো সম্ভব হবে না, সেগুলোর বিষয়ে কমিশনের অনুমতি নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
বিজ্ঞাপন
পরিপত্রে আরও বলা হয়, নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন প্রকারের ফরম, প্যাকেট, ম্যানুয়েল, নির্দেশিকা, পোস্টার, লিফলেটসহ যাবতীয় মুদ্রণ সামগ্রী গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং প্রেস, তেজগাঁও, ঢাকা থেকে এবং নির্বাচনী দ্রব্যাদি (স্ট্যাম্প প্যাড, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাস সিল, লাল গালা, অমোচনীয় কালির কলম, হেসিয়ান বড় ব্যাগ, হেসিয়ান ছোট ব্যাগ, চার্জার লাইট, ক্যালকুলেটর, স্ট্যাপলার মেশিন ও স্ট্যাপলার পিন) নির্বাচন ভবনের গোডাউন থেকে সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সব নির্বাচনী সামগ্রী জেলায় পৌঁছানোর পর ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো ঘাটতি বা অতিরিক্ত পাওয়া গেলে বা অন্য কোনো অসংগতি দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-১) বা সহকারী সচিব (ক্রয় ও মুদ্রণ) কে জানাতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জেলা নির্বাচনর অফিসার/জেলা নির্বাচন অফিসার কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।
এ লক্ষ্যে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রয়োজন অনুসারে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় হতে বিভাগ/আঞ্চলিক বা জেলা পর্যায়ে নির্বাচনী দ্রব্যাদি পরিবহনে বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বিভাগ/আঞ্চলিক পর্যায় হতে জেলা সভায় এবং জেলা পর্যায় হতে উপজেলা পর্যায়ে দ্রব্যাদি পরিবহন ও বিতরণে অনুরূপ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার অভিযোগ ওঠে। এবারের নির্বাচনে শুরু থেকেই সেই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সে ব্যাপারে আন্তরিক থাকার কথা জানিয়েছে আসছে নির্বাচন কমিশন। এর অংশ হিসেবে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল সংস্থাটি।
জেবি