নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ পিএম
নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব পালনের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলমকে নিয়ে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সাক্ষাতে রাষ্ট্রপ্রধান সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব অনুমোদন দেন বলে জানান ইসি সচিব।
জাহাংগীর আলম বলেন, বৈঠকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে সে বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান সচিব।
সবশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিনের আগে-পরে মিলিয়ে ১০ দিন সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখা হয়।
বেসামরিক প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য ‘এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’বিধানের অধীনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়। ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি নির্বাচনী এলাকাগুলোতে দায়িত্ব পালন করে সেনাবাহিনী।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য সেনা সদস্যদের ভোটের দায়িত্বে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেয় নির্বাচন কমিশন। ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ ঘিরে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনা মোতায়েনের প্রাথমিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ১১ ডিসেম্বর সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম।
সেদিন তিনি বলেছিলেন, নীতিগতভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সশস্ত্র বাহিনীকে নির্বাচনি কাজে দায়িত্ব দিলে কমিশন যেভাবে চাইবে সেভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। রাষ্ট্রপতি যদি সদয় সম্মতি দেন তাহলে পরবর্তীতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে মো. সাহাবুদ্দিন ভোটে সেনা মোতায়েনের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেন।
এমআর