images

জাতীয়

ভোটের আগে সভা-সমাবেশ বন্ধে ইসির চিঠি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫১ পিএম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু হচ্ছে আগামী ১৮ ডিসেম্বর সোমবার। ওইদিন থেকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার বাইরে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন যাতে অন্য কোনো সভা-সমাবেশ করতে না পারে সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ইসি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

চিঠিতে ইসি জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি ধার্য করা রয়েছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ব্যতীত নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোটদানে নিরুৎসাহিত হতে পারে এরূপ কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখা বাঞ্চনীয়।

আরও পড়ুন

তৃতীয় দিনের আপিল শুনানিতে কপাল খুলেছে ৬১ প্রার্থীর 

এ অবস্থায়, আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ব্যতীত অন্য কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা অন্য সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।

এক দফার দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তফসিল বাতিলসহ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে এসব দল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভোটাররা যেন আতঙ্কিত না হন এবং নির্বাচনে যেন কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হয়, সেজন্য নির্বাচনবিরোধী রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বন্ধের উদ্যোগ নেয় কমিশন।

আরও পড়ুন

ভোটের মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী 

সবশেষ গত রোববার বিএনপি ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা শহরে মানববন্ধন করেছে। যাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জেলায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম ২৯ ডিসেম্বর সমাবেশের ডাক দিয়েছে। তাই ভোটের আগে এমন কর্মসূচি চায় না নির্বাচন কমিশন।

এর আগে রাজনৈতিক দলের নির্বাচনবিরোধী কর্মসূচির বিষয়ে শক্ত অবস্থানের বিষয়টি নিয়ে শনিবার ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমও ইঙ্গিত দেন। ওইদিন তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। এখন এটি আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করব। তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী যেকোনো কার্যক্রম নির্বাচন পরিপন্থী হিসেবে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে প্রচলিত বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিইউ/জেবি