images

জাতীয়

হামুনের প্রভাবে পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:২৬ এএম

সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে ভূমিধস হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১৪ প্রকাশ করে এ তথ্য জানিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

 

আরও পড়ুন

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ উপকূল অতিক্রম করতে কত সময় নেবে?

আবহাওয়া অধিদফতরের ১৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (২১.৭ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.৮ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ (২৪ অক্টোবর) রাত নয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।

 

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশের উপকূল অতিক্রম অব্যাহত আছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে কুতুবদিয়ার নিকট দিয়ে পরবর্তী ৪ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

 

আরও পড়ুন

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

 

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে সাগর ‘খুবই উত্তাল’ থাকায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি অপর দুই সমুদ্রবন্দর মোংলা ও পায়রাকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে সংস্থাটি।

এমআর