লাইফস্টাইল ডেস্ক
২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:১০ এএম
২০২২ সাল আমার জীবনে মনে রাখার মতো একটি বছর। দীর্ঘ দুই বছর করোনা-লকডাউনসহ বিভিন্ন কারণে ২০২০-২১ সালের প্রায় পুরোটা সময় শুয়ে-বসে অকাজে কেটে গেছে। নষ্ট হয়েছে জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময়। এরপর ২০২২ ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর বছর। নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে জীবনের প্রতিটি ধাপে এগিয়ে যাবার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করার এই সময়টুকু আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে।
এমন প্রচুর কাজ রয়েছে যেসব কাজ নিয়মিত করা উচিত ছিল কিন্তু কখনো সময় স্বল্পতা কখনোবা অলসতার কারণে করা হয়নি। এরমধ্যে রয়েছে বই পড়া, গরীব অসহায় ছিন্নমূল মানুষের জন্য কাজ করা, দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করা ইত্যাদি।
দিনদিন যেন জীবনযাত্রার মান কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে। সাধারণ মানুষ তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। ব্যয় বাড়লেও সে তুলনায় বাড়ছে না আয়।
এর পেছনের কারণ হিসেবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাভাব যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে দেশিয় দুর্নীতিবাজদের অপকর্ম। সব মিলিয়ে বলা যায় চলতি বছর মানুষের জীবনযাত্রা আগের চেয়ে আরও কঠিন হয়ে উঠেছে।
এই বছর ব্যক্তিগতভাবে ভালো কাটলে প্রিয়জন হারানোর দুঃখ সঙ্গী হয়েছে। কোরবানির ঈদের দিন হঠাৎ খবর পেলাম শৈশবের সহপাঠী তিন বন্ধু বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে। তারমধ্যে একজন ছিল খুবই কাছের। হাসপাতালে দুইদিন জীবন-মরণ লড়াই শেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেল বন্ধুটি।
এরই মধ্যে খবর এলো আরেকজন সহপাঠী বন্ধুও না ফেরার দেশে। একই সময় দুই বন্ধুকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গেলাম। ২০২২ সালে আমার দুই বন্ধুকে হারিয়েছি।
দেখতে দেখতে ২০২২ সাল শেষপ্রান্তে চলে এসেছে। ২০২৩ সালে নিজেকে আরও গোছালো, স্মার্ট, আপডেট করে তুলতে চাই। কর্মক্ষেত্রে বাড়াতে চাই নিজের দক্ষতা। সেইসঙ্গে প্রচুর বইপত্র-আর্টিকেল পড়তে চাই। জ্ঞানের সাগরে এমনভাবে ডুব দিতে চাই যেন আমার একটি মুহূর্তও অবহেলা অলসতায় অহেতুক না কাটে।
আগামী বছর কাজ করতে চাই অসহায় শিশুদের নিয়ে। কোনো শিশু যেন তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়— সেই লক্ষ্যে কাজ করতে চাই।
লেখক: অনলাইন সেলস এক্সিকিউটিভ, রাহনুমা প্রকাশনী
এনএম/জেএম