লাইফস্টাইল ডেস্ক
১৮ নভেম্বর ২০২২, ০২:১৮ পিএম
পরীক্ষার কথা ভাবলেই অনেকের গলা শুকিয়ে আসে। ভয়ে জ্বরে আক্রান্ত হন। আসলে বড় হোক কিংবা ছোট— পরীক্ষার আগের দিনের টেনশন কিছুতেই এড়ানো যায় না। যত ভালো প্রস্তুতিই হোক, মনের মধ্যে ভয় কাজ করে। পরীক্ষার হলে ঢুকলে সেই টেনশন আরও বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত টেনশন ও প্যানিকের কারণে অনেকের পরীক্ষা খারাপ হয়। স্ট্রেসের কারণে পরীক্ষা ভালো হওয়ার কথা থাকলেও তা হয় না। সারাবছর পড়ার পরও জানা জিনিস ভুল হয়ে যায়। এই স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব।
কীভাবে পরীক্ষার আগের দিন এবং পরীক্ষার সময় স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
পর্যাপ্ত ঘুম
অনেকেই পরীক্ষার আগের দিন সারারাত জেগে পড়াশোনা করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এদের লাভের চাইতে ক্ষতি হয় বেশি। রাতে জেগে থাকার কারণে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত স্ট্রেস পড়ে। এতে পরীক্ষা খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পরীক্ষার দিনগুলো পর্যাপ্ত ঘুমানো জরুরি। তাই বেশি রাত না জেগে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া উচিত। এতে মস্তিষ্কে চাপ পড়ে না। মাথা ঠান্ডা থাকে।
ছোট নোট তৈরি করে রাখা
পরীক্ষার আগে যে কোনো বিষয়েরই ছোট নোট (শর্ট নোট) তৈরি করে রাখা উচিত। পরীক্ষার হলে যাওয়ার আগ মুহূর্তে তাতে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যায়। এছাড়া নোট করা থাকলে জরুরি টপিকগুলো কমসময়ে এক জায়গায় পাওয়াও সম্ভব হয়।
সময় বুঝে লেখা
পরীক্ষায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে লিখতে পারাই আসল দক্ষতায় পরিচয়। তাই প্রশ্ন হাতে পেয়েই সময় ভাগ করে নেওয়া উচিত। কোন প্রশ্নের জন্য কতটা সময় দেওয়া দরকার তা আগে থেকে ঠিক করে নিলে শেষ সময়ে তাড়াহুড়া করতে হয় না। শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়া করলে অনেকসময় জানা প্রশ্নের উত্তরও ভুল হতে পারে।
লেখা শেষে পড়ে দেখা
পরীক্ষার শেষ করার পর খাতা জমা দেওয়ার আগে একবার পড়ে নেওয়া উচিত। এতে অনেক ভুল খুঁজে পাওয়া যায়। অনেকসময় না মেলাতে পারা প্রশ্নের উত্তরও তখন মনে পড়ে।
>> আরও পড়ুন: শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে আপনার করণীয়
>> আরও পড়ুন: রাত জাগলে আয়ু কমে
পরীক্ষা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আত্মবিশ্বাস ঠিক রাখলে সব পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব। তাই যতটা পারা যায় নিজেকে রিল্যাক্স রাখুন। সবচেয়ে ভালো পারা উত্তর দিয়ে পরীক্ষা শুরু করুন। খুব বেশি প্যানিক হলে বেশিসময় দম রেখে শ্বাস নিন।
এনএম