লাইফস্টাইল ডেস্ক
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
শরীরের লিভারের নিচে থাকা ছোট্ট একটি থলিকে বলা হয় পিত্তথলি। লিভারের তৈরি রস জমা করে রাখে এটি। এই পিত্তরস হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। বিশেষ করে চর্বিযুক্ত খাবার হজম করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে এটি। কোনো কারণে যদি এই পিত্তরস জমে কঠিন আকার ধারণ করে তখন পাথর সৃষ্টি হয়। একে গলব্লাডারের স্টোন বা পিত্তথলির পাথর বলে।
পিত্তরসে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল হলে এটি জমে পাথর তৈরি করতে পারে। আবার যদি কোনো কারণে পিত্তরস ঠিকভাবে প্রবাহিত না হয়, তাহলে এটি জমেও পাথর হতে পারে।

লিভারের রক্তে থাকে বিলিরুবিন নামক পদার্থ। বিভিন্ন কারণে এটি বেড়ে গেলে পিত্তরসেও বিলিরুবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা পাথরের সৃষ্টি করতে পারে। যেসব খাবারে বেশি চর্বি থাকে, তা হজম করতে বেশি পরিমাণ পিত্তরসের প্রয়োজন হয়। তাই এই রস বেশি জমে পাথরের কারণ হতে পারে।
দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত ব্যায়াম না করা, অতিরিক্ত ওজন এবং ফাস্টফুড খাওয়ার অভ্যাস এর মধ্যে অন্যতম।
আরও পড়ুন- কেবল কিডনি নয়, এসব অঙ্গেও পাথর হতে পারে!

রোজকার জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনার মাধ্যমে পিত্তথলিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব। চলুন এসম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই-
পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমাতে চর্বিজাতীয় খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। খাদ্যতালিকায় রাখুন ফল, সবজি ও আঁশযুক্ত খাবার। বিশেষ করে, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডযুক্ত খাবার খান। এমন খাবার খেলে পিত্তরস সহজে গলে।

অতিরিক্ত ওজন পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলুন।
দৈনিক পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এতে শরীরের বিভিন্ন অংশের রসের প্রবাহ ঠিক থাকবে। ফলে পিত্তরস জমাট বাঁধবে না।

একবারে অনেকবেশি খাবার না খেয়ে অল্প অল্প খাবার খান। এতে পিত্তরসের সঠিক প্রবাহ বজায় থাকবে। কমবে পাথর হওয়ার ঝুঁকি।
নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীরের মেটাবলিজম বাড়ে। পিত্তথলির পাথর প্রতিরোধে নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

মদ্যপান ও ধূমপানের মতো অভ্যাসের কারণে পিত্তথলিতে পাথর তৈরি হতে পারে। তাই এসব অভ্যাস ছাড়ুন।
পিত্তথলিতে পাথর ধরা পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শে অস্ত্রোপচার বা ওষুধ প্রয়োগ এটি অপসারণ করা যায়। তবে প্রতিরোধের জন্য সচেতন হওয়া জরুরি।
এনএম