লাইফস্টাইল ডেস্ক
২৪ জুন ২০২২, ০৩:৫৫ পিএম
বিরিয়ানির কথা শুনলে জিভে জল আসে না- এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। সরু চাল আর মাংসের সঙ্গে হরেক রকম মসলায় সমন্বয়ে তৈরি এই খাবারটি ভারতীয় উপমহাদেশে বেশ জনপ্রিয়। কেবল বিরিয়ানি নয়, এতে থাকা আলুর প্রতিও সবার রয়েছে অন্যরকম ভালোবাসা।
উপমহাদেশে বিরিয়ানির আগমন ঘটে ১৮৫৬ সালে। নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ কলকাতায় আসার পরেই খাবারটি সম্পর্কে জানতে পারে সবাই। স্বাদ আর ঘ্রাণের কারণে দ্রুত সবার মনে জায়গা করে নেয় বিরিয়ানি। তাইতো পাড়া মহল্লায় সবখানেই বিরিয়ানির দোকান দেখা যায়।
দূর থেকে বিরিয়ানির ঘ্রাণ নাকে এলেই নিশ্চয়ই বুঝতে পারেন আশেপাশের কোথাও এর দোকান রয়েছে। কখনো কী খেয়াল করে দেখেছেন, সব দোকানেই লাল কাপড়ে মোড়া থাকে বিরিয়ানির হাড়িগুলো। এত রঙ থাকতে এই রঙের কাপড়েই কেন মোড়া হয় পাতিল? এটি কি কাকতালীয় না রয়েছে কোনো ব্যাখ্যা?
ইতিহাস অনুযায়ী, সম্রাট হুমায়ুনের খাদ্য পরিবেশন করা হতো ‘দরবারি রীতি’ অনুযায়ী। রূপালি রঙের পাত্রে খাবার পরিবেশন করা হলে তা লাল কাপড়ে ঢাকা হতো। আর চিনামাটি বা অন্য ধাতবের পাত্রগুলোকে ঢাকা হতো সাদা কাপড়ে।
পরবর্তীতে মুঘল দরবারেও এই রীতি অনুসরণ করা হয়। এই রীতি এত জনপ্রিয় ছিল যে লাখনৌর নবাবরাও এটি ব্যবহার করতেন। অনেকের মতে, লাল কাপড়ে ঢাকার রীতি থেকে পাতিল মোড়ানোর বিষয়টি এসেছে। তবে মতান্তরও রয়েছে।
অনেকের মতে, ঐতিহ্যের রীতি মেনে নয়, ব্যবসায়িক খাতিরে দ্রুত ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এই পন্থা মেনে চলেন বিক্রেতারা। এই রঙটি দ্রুত মানুষের চোখে পড়ে এবং মানুষ তাতে আকৃষ্ট হয়।
ইতিহাস হোক আর ব্যবসায়িক খাতিরেই হোক, লাল কাপড়ে মোড়া বিরিয়ানির পাতিলের সঙ্গে ভোজনরসিক মানুষের সম্পর্ক সবসময় একরকমই ছিল, তাই আছে। এ ব্যাপারে কোনো মতভেদ নেই।
এনএম