লাইফস্টাইল ডেস্ক
০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
একটা সময় হাতেগোণা হলেও বর্তমানে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম বা পিসিওএসের সমস্যা ঘরে ঘরে। প্রতি ১০ জন নারীর এক জনই এই সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসকরা এ ধরনের মেয়েলি রোগকে জীবনধারার সমস্যা বা ‘লাইফস্টাইল ডিজিজ’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা বেড়ে গেলে জরায়ুতে মালার মতো সিস্ট জন্মাতে পারে। নিয়মিত শরীরচর্চা এবং খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এই স্বাস্থ্য সমস্যাকে বশে আনা যায়।
অনেকেই বলে থাকেন পিসিওএস এর নির্দিষ্ট ডায়েট আছে। তবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। রোজকার খাবারে কম কার্বোহাইড্রেট এবং পরিমিত মাত্রায় প্রোটিন রাখলেই এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।

খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সকালের নাশতা। এই বেলায় এমন কিছু খাবার রাখতে হবে যাতে প্রোটিনের মাত্রা বেশি থাকে। তাহলেই সারা দিনে হজমপ্রক্রিয়া ভালো হবে। অতিরিক্ত ক্যালোরিও জমবে না শরীরে। পিসিওএস থাকলে সকালের নাশতায় কী খাবেন চলুন জানা যাক-
এই খাবারটি তৈরি করতে লাগবে এক কাপ কাঠবাদামের দুধ, আধ কাপ রোলড ওটস, আধা কাপ কাঠবাদাম, এক চামচ চিয়া বা তিসি অথবা কুমড়োর বীজ। সঙ্গে এক স্কুপ প্রোটিন পাউডার বা একটি পাকা কলা মেশাতে পারেন। সব উপকরণ ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। সকালে এই স্মুদি খেলে প্রোটিন, ভিটামিন ও ফাইবারের চাহিদা পূরণ হবে। প্রতি গ্লাস স্মুদি থেকে মিলবে ২৫০ ক্যালোরি।

কিনোয়া খুবই স্বাস্থ্যকর একটি শস্য। পিসিওএস এর রোগীরা এই উপাদানটি নিশ্চিন্তে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। এজন্য প্রথমে কিনোয়া সেদ্ধ করে নিন। গাজর, বিনস, ক্যাপসিকাম, ব্রকোলি যা যা সবজি পছন্দ কুচি করে নিন। এবার কড়াইতে সাদা তেল গরম করে তাতে গোটা সরিষা, কারিপাতা, পেঁয়াজকুচি দিয়ে বাদামি করে ভাজুন। সম্ভব হলে অলিভ অয়েল দিয়েও রান্নাটি করতে পারেন।
আরও পড়ুন-
পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে তাতে পছন্দের সবজি দিয়ে ২-৩ মিনিট নাড়াচাড়া করুন। অল্প হলুদ ও স্বাদমতো লবণ দিন। এরপর সেদ্ধ করা কিনোয়া দিয়ে আরও মিনিট দুয়েক নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন। ওপরে গোলমরিচ ছড়িয়ে খান।

মুগডাল বেটে তাতে স্বাদ মতো লবণ দিন। ফ্রাইং প্যানে সামান্য তেল বা ঘি দিয়ে মুগ ডালের মিশ্রণটি ছড়িয়ে দুই পাশ ভেজে তুলে নিন। চাইলে শশা, টমেটো, পেঁয়াজ কুচিয়ে কেটে পনিরের সঙ্গে তাওয়ায় নেড়ে ভেতরে পুর হিসেবে দিয়ে দিতে পারেন।
কিংবা সয়াবিন সেদ্ধ করে পেঁয়াজ, আদা, রসুন দিয়ে কষিয়েও চিল্লার ভেতরে পুর দিতে পারেন। প্রোটিন সমৃদ্ধ এই নাশতাটি ওজন ঝরাতেও সাহায্য করবে।
এনএম