images

লাইফস্টাইল

সকালের নাশতায় কী খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে

লাইফস্টাইল ডেস্ক

০১ আগস্ট ২০২৫, ১০:১৯ এএম

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে দিনের শুরুতেই নিতে হবে সঠিক সিদ্ধান্ত—আর তা হলো স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা। অনেকেই ওজন কমানোর আশায় সকালের নাস্তা এড়িয়ে যান, যা আসলে হিতে বিপরীত। কারণ সঠিক সময়ে পুষ্টিকর নাস্তা শরীরের বিপাক ক্রিয়া (Metabolism) বাড়িয়ে দেয় এবং সারাদিনের খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

তাহলে প্রশ্ন হলো, সকালের নাস্তা কী খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে? নিচে তার কিছু কার্যকর এবং পুষ্টিকর উদাহরণ তুলে ধরা হলো—

১. ওটস বা দুধ-চিঁড়া

ওটস ফাইবার সমৃদ্ধ ও কম ক্যালোরিযুক্ত। দুধ বা টকদইয়ের সঙ্গে ওটস বা চিঁড়া খেলে তা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা কমায়। চাইলে এর সঙ্গে কিছু ফল মিশিয়ে নিতে পারেন।

food

২. সেদ্ধ ডিম বা পোচ

ডিমে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন থাকে যা মাংসপেশি গঠনে সহায়ক এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন সকালে ১-২টি ডিম খাওয়া ওজন কমানোর পথকে সহজ করে।

৩. তাজা ফল ও বাদাম

সকালের নাস্তায় একটি সেব আপেল, কলা বা পেয়ারা এবং সঙ্গে ৪-৫টি কাঠবাদাম বা আখরোট খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভালো চর্বি পাওয়া যায়। এগুলো ক্ষুধা কমায় ও ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

nasta

৪. ব্রাউন ব্রেড বা আটার রুটি

পরিশোধিত খাবার এড়িয়ে পুরো শস্যজাত খাবার বেছে নিন। ব্রাউন ব্রেড, আটার রুটি বা মাল্টিগ্রেইন বিস্কুট অল্প মধু বা সবজি দিয়ে খেতে পারেন। এতে কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবার থাকে।

৫. টকদই বা ঘরে তৈরি স্মুদি

টকদই হজমে সহায়ক ও প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফ্রুট স্মুদি বানাতে পারেন দুধ বা টকদইয়ের সঙ্গে কলা বা বেরি মিশিয়ে।

breeak_fast

যা এড়িয়ে চলবেন:

পরোটা, লুচি, শিঙারা বা তেলে ভাজা খাবার

প্রসেসড খাবার (চিপস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস)

অতিরিক্ত চিনি দেওয়া চা বা কফি

সফট ড্রিংকস বা বেকারি আইটেম

অতিরিক্ত কিছু টিপস:

নাস্তা বাদ দেবেন না।

নাস্তায় প্রোটিন, কার্ব ও ফাইবারের সুষম সমন্বয় রাখুন।

চিনি ও ট্রান্স ফ্যাট যতটা সম্ভব কমিয়ে দিন।

সকালের নাস্তায় পানি খেতে ভুলবেন না।

আরও পড়ুন: সকালের নাশতা কখন খেলে ওজন কমে

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। আর তার সূচনা হোক স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা দিয়ে। মনে রাখবেন, ওজন কমানো মানেই না খাওয়া নয়, বরং বুদ্ধিমানের মতো খাওয়াটাই সবচেয়ে জরুরি।

এজেড