লাইফস্টাইল ডেস্ক
১৭ মে ২০২৫, ০২:১১ পিএম
এখন আর কেবল অফিস বা শপিং মল নয়, বাসা ভাড়াতেও ব্যবহৃত হচ্ছে এসি। এটি এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং প্রয়োজনীয় পণ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। গরমে অতিষ্ঠ জীবনে একটু স্বস্তি আনতে এসির বিকল্প কমই আছে। তাই গরম বাড়লেই বেড়ে যায় এয়ার কন্ডিশনার (এসি) কেনার পরিমাণও।
এসি কিনতে গেলে ডিলার বা সেলার জিজ্ঞেস করেন, স্প্লিট এসি কিনতে চান নাকি উইন্ডো এসি। উত্তর দেওয়ার পরেই পরবর্তী প্রশ্ন করেন, কত টন এসি কিনতে চান। এই প্রশ্নটি শুনলেই বেশিরভাগ মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়ে যান। কারণ বেশিরভাগ মানুষ এসির টনের অর্থ জানেন না। আবার অনেকে ভাবেন এটি ওজনের সঙ্গে যুক্ত। আসলে কিন্তু ব্যাপারটা তেমন নয়।

এয়ার কন্ডিশনার অর্থাৎ এসিতে, টন বলতে মোটেও ওজন বোঝানো হয় না। আসলে টন বলতে শীতল করার ক্ষমতাকে বোঝায়। এসির টনেজ নির্দেশ করে যে এটি এক ঘণ্টার মধ্যে কত বড় ঘর ঠান্ডা করতে পারে। এখানে কিছুটা বিজ্ঞানের ভূমিকাও আছে।
এ কথা সবাই জানে যে এসি তাপ দূর করে এবং ঘর ঠান্ডা করে। তাপ পরিমাপ করা হয় BTU (ব্রিটিশ তাপীয় ইউনিট) তে। এমন পরিস্থিতিতে, যখন ১ টনের এসি অর্থাৎ এয়ার কন্ডিশনার কেনা হয়, তখন ধারণা করা হয় এটি এক ঘণ্টার মধ্যে ঘর থেকে ১২০০০ বিটিইউ অর্থাৎ তাপ অপসারণ করতে পারে। অন্যদিকে, ১.৫ টনের এক ঘণ্টায় ১৮০০০ বিটিইউ তাপ অপসারণ করতে পারে এবং ২ টনের এসি ২৪০০০ বিটিইউ তাপ অপসারণের ক্ষমতা রাখে।

আপনি যদি এসি কেনার পরিকল্পনা করেন তাহলে প্রথমে আপনার চাহিদাগুলো বুঝুন এবং সেই অনুযায়ী এসি কিনুন। অনেকে বড় ঘরে কম টনের এসি কেনেন। ফলে ঘর ঠিকমতো ঠান্ডা হয় না। আবার ছোট ঘরের জন্য বেশি টনের এসি কেনা হলে অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ অপচয় হয়।
আরও পড়ুন-
মনে রাখবেন, ঘরের আকারের ওপরও এসির ঠান্ডা নির্ভর করে। ১০০ বর্গফুটের একটি ঘরের জন্য ১ টনের এসি যথেষ্ট বলে মনে করা হয়। আবার আপনার ঘর যদি ১০০ বর্গফুটের বেশি এবং ২০০ বর্গফুটের কম হয়, তাহলে ১.৫ টনের এসি যথেষ্ট হতে পারে।

২০০ বর্গফুটের বেশি জায়গার জন্য, ২ টন থেকে ৩ টন ক্ষমতার এসি কেনা লাভজনক হতে পারে। আপনি যদি ১০০ বর্গফুট ঘরের জন্য ২ টনের এসি কেনেন, তাহলে এটি কেবল বেশি বিদ্যুৎ খরচ করবে এবং আপনার বিলও বাড়াবে। তাই এসি কিনতে গেলে বুঝেশুনে কিনুন।
এনএম