লাইফস্টাইল ডেস্ক
০৬ মে ২০২৫, ১১:৫৪ এএম
মাতৃত্ব একজন নারীর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সন্তান গর্ভে আসার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা জল্পনাকল্পনা শুরু হয় হবু মায়ের মনে। সন্তান যেন সুন্দরভাবে ভূমিষ্ঠ হয় সেদিকে থাকে সতর্ক নজর। সন্তান প্রসবের দুটি পদ্ধতি রয়েছে। একটি হলো নরমাল ডেলিভারি, আরেকটি সি সেকশন (সিজারিয়ান)।
সন্তান প্রসবের সবচে নিরাপদ ও কার্যকর উপায় হলো নরমাল ডেলিভারি স্বাভাবিক প্রসব। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে শিশু যোনিপথের মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেয়। প্রসবের সবচেয়ে সাধারণ এবং নিরাপদ পদ্ধতি এটি যা সিজারিয়ান সেকশন (গ-বিভাগ) এর চেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ।

নরমাল ডেলিভারি বা স্বাভাবিক প্রসবের লক্ষণ হলো গর্ভাবস্থার শেষ দিকে কিছু শারীরিক পরিবর্তন, যেমন- পেটে চাপ, হালকা রক্তপাত বা পানি ভেঙে যাওয়া। এছাড়া, জরায়ুর নিয়মিত সংকোচন ও প্রসারণ যা প্রসবের সময় শুরুর ইঙ্গিত দেয়। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত চলুন জানা যাক-
আরও পড়ুন- নরমাল ডেলিভারি হওয়ার উপায়
প্রসবের শুরুতে জরায়ুর পেশী নিয়মিত বিরতিতে সংকুচিত হতে শুরু করে। এতে পেটে চাপ বা ব্যথার মতো অনুভূতি হতে পারে। সময়ের সঙ্গে এই সংকোচন আরও তীব্র ও ঘন ঘন হতে থাকে। জরায়ুর এই সংকোচন নরমাল ডেলিভারির ইঙ্গিত দেয়।

প্রসবের সময় জরায়ু মুখ ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়। এটি স্বাভাবিক প্রসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
জরায়ুর চারপাশে অবস্থিত জলপূর্ণ থলি ফেটে গেলে পানি বেরিয়ে আসতে পারে। এটি নরমাল ডেলিভারির একটি স্বাভাবিক লক্ষণ।

প্রসবের সময় জরায়ু মুখ খোলার সঙ্গে সঙ্গে হালকা রক্তপাত বা স্রাব বের হতে পারে।
গর্ভাবস্থার শেষ দিকে পেটে চাপ বা কোমর ব্যথার মতো অনুভূতি হতে পারে। এটি নরমাল ডেলিভারির একটি সম্ভাব্য লক্ষণ।

প্রসবের আগে শিশুর নড়াচড়ার ধরন বা গতি পরিবর্তিত হতে পারে। হবু মা শিশুর এই নড়াচড়ার পার্থক্য বুঝতে পারেন। এটিও নরমাল ডেলিভারির লক্ষণ।
অনেকে জানতে চান নরমাল ডেলিভারি কত সপ্তাহে হয়? সাধারণত গর্ভাবস্থার ৩৭ সপ্তাহ থেকে ৪২ সপ্তাহের মধ্যে নরমাল ডেলিভারি হয়।

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করণীয়
ওপরে নরমাল ডেলিভারির সম্ভাব্য লক্ষণগুলো জানানো হয়েছে। ডেলিভারির সময় ঘনিয়ে এলে যদি এসব লক্ষণের কোনটি দেখা যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
এনএম