লাইফস্টাইল ডেস্ক
৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম
কর্মব্যস্ত জীবনে অবসর নেওয়ার সময় যেন মেলে না। তবু মানুষ কাজের ফাঁকে খানিকটা বিশ্রামের সময় খোঁজে। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা অলসভাবে সময় কাটাতেই বেশি পছন্দ করেন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত আলস্য একসময় অভ্যাসে পরিণত হয়। আর একজন অলস ব্যক্তি কখনোই জীবনে উন্নতি করতে পারে না।
অনেকেই আছেন যাদের ঘুম থেকে ওঠার পরও শরীর চাঙ্গা লাগে না। কোনো কাজেই উৎসাহ মেলে না। দিনভর খালি শুয়ে-বসে কাটাতে ইচ্ছে করে। কোনো কাজেই তারা উৎসাহ পান না। আলাস্য যেন তাদের জেঁকে ধরেছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, অলসতা সবসময় ইচ্ছাকৃত নয়। অনেকক্ষেত্রে এটি মানসিক সমস্যা বা অসুস্থতার লক্ষণও হতে পারে।
আরও পড়ুন- সারাক্ষণ ক্লান্তি অনুভব যেসব রোগের লক্ষণ
চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত আলস্য, ক্লান্তিভাব বা ঝিমুনির কারণ আসলে ভিটামিনের অভাব। শরীরে ভিটামিন ও খনিজের নির্দিষ্ট ভারসাম্য আছে। এই ভারসাম্য বিগড়ে গেলেই পেশির ক্লান্তি বাড়ে। শরীরের দুর্বলতাও বাড়ে।

কোন দুই ভিটামিনের ঘাটতিতে এমন হয়?
শরীরে ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতির কারণে সারাদিন শুয়ে-বসে থাকতে ইচ্ছে করে। ভিটামিন ডি-র অভাব হলে ক্লান্তি, ঝিমুনি ও শারীরিক দুর্বলতা অনেক বেড়ে যায়। হাড়, ত্বক, চুল, নখ, মানসিক স্বাস্থ্য ইত্যাদি শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য এই ভিটামিনের মাত্রা ঠিক থাকা জরুরি।
আরও পড়ুন- যেসব খাবার মানুষকে ক্লান্ত করে
ভিটামিন ডি-র অভাবে হাড় ক্ষয়ে যাওয়া এবং হাঁটুতে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা যায়। হাড়, ত্বক, চুল, নখ ও মানসিক স্বাস্থ্য ইত্যাদি শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি-র মাত্রা ঠিক থাকা জরুরি। ভিটামিন ডি-র অভাব হলে হাড় ক্ষয়ে যাওয়া ও হাঁটুতে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা যায়।

অন্যদিকে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি হলেও শারীরিক ক্লান্তি বেড়ে যায়। অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়। এই ভিটামিনের অভাবে বেড়ে যায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। এছাড়াও ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতিতে বিভিন্ন মানসিক রোগ হয়ে থাকে। হাত-পা কাঁপা, পেশির অসাড়তা, পেশিতে টান ধরা, ঝিমুনি, মাথা ঘোরার মতো লক্ষণও দেখা দেয়।
তাই সারাদিন শুয়ে-বসে থাকতে ইচ্ছে করলে ভিটামিনের ঘাটতি আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিন। পাশাপাশি আলস্য কাটাতে জীবনযাপনে প্রয়োজনীয় বদল আনুন। ভিটামিন সমৃদ্ধ সুষম খাবার রাখুন রোজকার পাতে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান, ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম এবং নিয়মিত শরীরচর্চা জরুরি।
এনএম